
মন কি বাতের সঙ্গে তুলনা ডাল-ভাতের! বিনামূল্যে ভাষণ দেন বিজেপি নেতারা, কটাক্ষ অভিষেকের
চতুর্থদফার প্রচারের শেষ লগ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সরকারের বিনা পয়সার প্রকল্পের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee)। এদিন তিনি আলিপুরদুয়ারের (alipurduar) কুমারগ্রামে সভা করেন। সেই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi) মন কি বাতের সঙ্গে বিনামূল্যে ডালভাতের তুলনা টানেন।

কেন্দ্র ও রাজ্যের কাজের তুলনা
চতুর্থদফার প্রচারের শেষলগ্নে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে দলীয় প্রার্থী লিওস কুজুরের হয়ে এদিন প্রচার করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় তিনি কেন্দ্রের কাজের সঙ্গে রাজ্যের কাজের তুলনা টানেন। সেখানে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা বিনামূল্যে ভাষণ দেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনামূল্যে রেশন দেন। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর প্রশ্ন আপনারা কোনটা চান? এর আগেই তিনি একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন।

মন কি বাত, না বিনামূল্যে ডাল-ভাত
এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি প্রশ্ন করেন, মন কি বাত, শুনেছেন কিংবা দেখেছেন কি? পরেই তিনি বলেন, ওটা দেখা যায় না। তিনি বলেন, মন কি বাত নাকি, বিনামূল্যে ডাল-ভাত। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বিনামূল্যে ডাল-ভাত পান। কোনটা ভাল? প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর বিভিন্ন সভা থেকে বলেছেন, সরকার বিনামূল্যে কোন কোন পরিষেবা দিচ্ছে। বিজেপি সরকার এলে এইসব পরিষেবা তুলে দেবে বলে মন্তব্য করে জনগণকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

নাগরিক পরিষেবা অব্যাহত থাকবে
তৃণমূলের ইস্তেহারে বিনামূল্যে সরকারের যেসব কর্মসূচি রয়েছে তা অক্ষু্ণ্ণ রাখার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তা আরও বাড়ানোর ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, ফ্রিতে রেশন দেওয়া হবে। পরে জানানো হয়, তা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারের জনমুখি প্রকল্প কিংবা কর্মসূচিগুলিই যে তাদের হাতিয়ার তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বারবার। সাধারণ মানুষকে এইসব প্রকল্পের মাধ্যমেই কাছে টানতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

অমিত শাহকে নিশানা
পাশাপাশি স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে এদিন অমিত শাহকেও আক্রমণ করেন। অমিত শাহ বারবার বলছেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসলে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। অভিষেক বলেন, সীমান্তে পাহারা দেয় বিএসএফ। আর কেন্দ্রীয় এই বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যার মন্ত্রী অমিত শাহ। তাই অনুপ্রবেশ যদি না রোখা যায়, তার দায় কেন্দ্রের। সেই দায় মাথায় নিয়ে অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অনুপ্রবেশ ঘটলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে পদত্যাগ করুন, তুফানগঞ্জের সভা থেকে অমিত শাহকে নিশানা অভিষেকের