কয়েক মাসেই জুলুম-মুক্তি! ত্রিপুরায় হলে বাংলায় নয় কেন, হুঙ্কার ছাড়লেন মোদী
মমতার রাজ্যে এসে পরিবর্তনের ডাক দিলেন নরেন্দ্র মোদী। কৃষক কল্যাণ সমাবেশ থেকেই তাঁর বার্তা ত্রিপুরায় যদি পরিবর্তন হয়ে পারে, তাহলে বাংলায় নয় কেন।
মমতার রাজ্যে এসে পরিবর্তনের ডাক দিলেন নরেন্দ্র মোদী। কৃষক কল্যাণ সমাবেশ থেকেই তাঁর বার্তা ত্রিপুরায় যদি পরিবর্তন হয়ে পারে, তাহলে বাংলায় নয় কেন। বাংলাতেও পরিবর্তন হবে,স সুশাসন ফিরবে। আর মাত্র কয়েক মাস, অপেক্ষা করুন বাংলাও পাল্টাবে। এদিন মেদিনীপুরের সভা থেকেই ২০১৯-এর প্রচার শুরু করে দিলেন বিজেপির মূল কাণ্ডারি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বলেন, পঞ্চায়েতে জোরজুলুম, সন্ত্রাসের ভোট হয়েছে। বাম শাসনের থেকেও খারাপ অবস্থা বাংলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বে অপশাসন চলছে। তবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির দিন আসবেই। আর তা আসবে কয়েক মাসের মধ্যেই ২০১৯-এ। একইসঙ্গে যাঁরা আতঙ্কের মধ্যেও ভোট করেছেন, তাঁদের প্রণাম জানান প্রধানমন্ত্রী। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, যে গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, সে বাংলায় বাঁচবে না।
[আরও পড়ুন: মোদী মঞ্চ থেকে নামতেই প্রবল বাক-বিতণ্ডা দিলীপ-বাবুলের, আড়াআড়ি দু'ভাগ বিজেপি]
ত্রিপুরায় বাম সরকারের পতনের উদাহারণ তুলেই তোপ দাগেল নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এবার বাংলায় তৃণমূল সরকারের পতন হবেই। পতন ঘটাবে বিজেপি। ২০১৯-এই সেই পতনের সূচনা হবে। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকার সিন্ডিকেটের সরকার। সব কিছুতেই সিন্ডিকেট।
চিটফান্ড থেকে আলুর বন্ড বিক্রি, কলেজে ভর্তি- কিছুই সিন্ডিকেট ছাড়া হয় না এই বাংলায়। বাংলার মানুষ এখন বুঝতে পারছেন বামপন্থীদের সরিয়ে কী বিপদ ডেকে এনেছেন। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, বামপন্থীদের সরিয়ে কী এই বিপদ আপনারা ডেকে আনতে চেয়েছিলেন। তাঁর কথায় এদিন ফুটে উঠে প্রকৃত পরিবর্তম আনার কথা।
[আরও পড়ুন: মমতাকে আক্রমণ সিন্ডিকেট খোঁচায়, বাংলা বাঁচাতে পরিবর্তনের ডাক নরেন্দ্র মোদীর]