নারায়ণী রেজিমেন্ট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করবেন অমিত শাহ? আশায় বুক বাঁধছে কোচবিহার
নারায়ণী রেজিমেন্ট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করবেন অমিত শাহ? আশায় বুক বাঁধছে কোচবিহারের মানুষ। পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করতে আগামিকাল বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভোটের মুখে তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিবর্তন একদিকে রাজবংশী ভোট অন্যদিকে সংগঠনকে মজবুত করতে বড়সড় বার্তা শাহ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজবংশী ভোট ধরে রাখতে নারায়নী রেজিমেন্ট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করতে শাহ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নারায়ণী রেজিমেন্ট নিয়ে বড়সড় ঘোষণার আশায় নিশীথ
রাজবংশী ভোট ধরে রাখাটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজবংশী ভোট যায় বিজেপির কাছেই। কিন্তু উপ-নির্বাচনে হার হয় বিজেপির। হারানো জমি ফের একবার শক্ত করে শাসকদল তৃণমূল। এই অবস্থায় কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার মঞ্চ থেকেই নারায়নী রেজিমেন্ট ঘোষণা করে বড়সড় করতে পারেন অমিত শাহ। এমনটাই মনে করছেন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর দাবি, আগামিকাল বৃহস্পতিবার ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে অমিত শাহের সভা থেকে নারায়ণী রেজিমেন্ট ঘোষণা হতে পারে। এদিন তিনি বলেন, ''কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের বিভিন্ন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আশা করছি বৃহস্পতিবারের সভা থেকে নারায়ণী রেজিমেন্টের ঘোষণা হতে পারে। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি।''
নারায়ণী সেনা রেজিমেন্ট নিয়ে ধোঁয়াশা!
নারায়নী সেনা রেজিমেন্ট নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও রয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন আগে নারায়ণী সেনা রেজিমেন্ট তৈরির অবস্থা নিয়ে আবেদন করেছিলেন অসমের এক অধ্যাপক। সম্প্রতি উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, নারায়ণী সেনা রেজিমেন্ট নিয়ে কোনও তথ্য শুধু নয়, কবে তা গঠন হতে পারে তাও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে অন্যতম ইস্যু ছিল নারায়ণী সেনা রেজিমেন্ট গঠন। এবং সেখানে রাজবংশী জনজাতির কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলেও দাবি করেছিল বিজেপি৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই রেজিমেন্ট গঠন হওয়া নিয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি রেজিমেন্ট তৈরির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ফলে রাজবংশীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে তা ভালোভাবেই জানে কেন্দ্র। আর তাই ভোটের আগে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই খবর।
প্রচারে নামছে তৃণমূল!
নারায়নী রেজিমেন্ট নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। গত লোকসভা ভোটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি বিজেপি। ইতিমধ্যে তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা গিয়েছে যে, নারায়ণী সেনা রেজিমেন্ট নিয়ে কোনও তথ্য শুধু নয়, কবে তা গঠন হতে পারে তাও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে দেওয়া জবাবকে হাতিয়ার করতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল। জানা গিয়েছে, আরটিআইএর জবাবকে হাতিয়ার করে বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে নামতে চলেছে তৃণমূল। রাজবংশী মানুষদের কাছে এই বিষয়ে প্রমান্য সহ তথ্য তৃণমূল তুলে ধরবে বলে সিদ্ধান্ত উত্তরের তৃণমূলের তরফে।
রেজিমেন্টের পাল্টা ব্যাটেলিয়ন
রেজিমেন্ট না ব্যাটেলিয়ান। ভোটের মুখে শুরু হয়েছে জোর তরজা। গত ডিসেম্বর মাসে কোচবিহারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কোচবিহারে নারায়ণী ব্যাটেলিয়নের হেডকোয়াটার হবে মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্র রেজিমেন্ট তৈরির বিষয়ে কিছুই জানায়নি। ফলে এই অবস্থায় ফায়দা তুলতে ময়দানে শাসকদল। যদিও কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের দাবি, 'তৃণমূল সরকারই নারায়ণী সেনা রেজিমেন্ট করা নিয়ে বাধা দিচ্ছে। তাদের জন্যই এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে দেরী হচ্ছে।'