নারদা মামলার তথ্য–প্রমাণ একে অপরের সঙ্গে আদান–প্রদান করবে ইডি ও সিবিআই
নারদা টেপ স্ক্যান্ডাল নিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে তদন্ত করেছে ইডি এবং সিবিআই। এবার এই দুই তদন্তকারী সংস্থা নারদা নিয়ে তদন্তের সেইসব তথ্য একে–অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন এক শীর্ষকর্তা।
ইডির পক্ষ থেকে সিবিআইকে বলা হয়েছে যে তাদের তদন্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য বা কোনও চার্জশিট, যা আদালতে পেশ করা হয়েছে অথবা সংস্থাটি এই কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়েছে, তা তাদেরকে দেওয়া হোক। ইডির এক শীর্ষ অধিকর্তা বলেন, 'এর আগে ইডি তদন্তের প্রমাণ সিবিআইয়ের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিল এবং এখন সিবিআইকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে তাদের তথ্য প্রমাণ ইডিকে দেওয়া হোক।’ দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার যৌথ উদ্যোগে নারদা কাণ্ডের তদন্ত সফলভাবে হোক তার জন্যই একে–অপরের সঙ্গে তথ্য আদান–প্রদান খুবই সাধারণ একটি বিষয়। ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'সিবিআইয়ের তদন্তের ওপরই নির্ভর করছে অর্থ নয়ছয়ের মামলাটির পরবর্তী তদন্ত।’
২০১৪ সালে বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ও আইপিএস অফিসারকে কোনও এক সংস্থাকে অনুগ্রহ করতে গিয়ে সেই প্রতিনিধিদের কাছে টাকা নিতে গিয়ে ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয় নারদা নিউজ পোর্টালে, যার ফলে রাজ্য–রাজনীতিতে তোলপাড় হয়ে যায়। এই মামলায় একমাত্র আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তিনি পরে জামিনে মুক্তি পান। নারদার সিইও ম্যাথিউ স্যামুয়েল যখন এই অপারেশনটি করেছিলেন তখন মির্জা বর্ধমান জেলার এসপি ছিলেন। এই মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শুভেন্দু অধিকারি, সুব্রত মুখার্জি এবং শোভন চ্যাটার্জির নামও জড়ায় এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়কেও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ডাকে। এছাড়াও সিবিআই বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও জিজ্ঞাবাদ করেন।