মির্জার ফোনের ওপারে কোন প্রভাবশালী সেদিন ছিলেন! নারদ মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের খোঁজে সিবিআই
কখনও তিনি বলছিলেন 'এক কোটি টাকা', কখনও বা প্রসঙ্গ উঠেছিল '৭০ লাখ টাকার '। হাতে টাকা পেতেই এই কথাগুলি তিনি , জনৈক ব্যক্তিকে ফোনে বলছিলেন। নারদা স্টিং এর ভিডিও ফুটেজ এমনই ঘটনা তুলে ধরেছিল। কখনও ত
কখনও তিনি বলছিলেন 'এক কোটি টাকা', কখনও বা প্রসঙ্গ উঠেছিল '৭০ লাখ টাকার '। হাতে টাকা পেতেই এই কথাগুলি তিনি, জনৈক ব্যক্তিকে ফোনে বলছিলেন। নারদা স্টিং অপারেশন-এর ভিডিও ফুটেজ এমনই ঘটনা তুলে ধরেছিল। এককালে বর্ধমানের দাপুটে পুলিশ অফিসার তথা বাংলার আইপিএস এসএমএইচ মির্জা সম্পর্কে এই তথ্যগুলিই উঠে আসে। আর নারদাকাণ্ডের তদন্তে নেমে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে প্রথম গ্রেফতার হন পুলিশ অফিসার মির্জা। এই গ্রেফতারি ঘিরে নারদা মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি ঠিক কোন খাতে বইতে চলেছে দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ও নারদা মামলা
নারদা মামলায় পর পর ৭ বার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। বর্ধমানের দাপুটে পুলিশ অফিসারকে স্টিং ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যায়। যা ঘিরেই সিবিআই এই অফিসারের বিরুদ্ধে নজরদারি শুরু করে। তবে, জেরায় প্রতিবারই তদন্তকারীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করতে থাকেন মির্জা। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন গ্রেফতার করা হয় দুঁদে আইপিএস অফিসারকে।
ফোনের ওপারে কে ছিলেন?
সূত্রের খবর, সিবিআই অফিসাররা বার বার নারদা স্টিং ফুটেজের ছবি দেখিয়ে মির্জার কাছ থেকে জানতে চান , সেদিন ফোনের ওপারে কার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি? কাকে 'এক কোটি টাকা' , 'সত্তর লাখ টাকা' সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছিলেন তিনি? এই প্রশ্ন বার বার সিবিআই অফিসারদের কাছ থেকে এড়িয়ে যেতে থাকেন মির্জা। আর তাতেই সন্দেহের মেঘ ঘনীভূত হয়। বার বার মির্জার তরফে তদন্তে অসহযোগিতা আসতেই, গোটা ঘটনার নেপথ্যে প্রভাবশালী ও 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের' গন্ধ পেতে শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত ও টাকার লেনদেন
মূলত , কোটি টাকার লেনদেন ঘিরেই সিবিআইয়ের নজরে আসেন মির্জা। যে লেনদেনের পরামর্শ এসেছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের তরফে। তবে, বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের নেতা মুকুল রায় আজ জানিয়ে দেন, তেনি কেবলমাত্র মির্জাকে ব্যবসার কাজের জন্য পরিচায় করান ম্যাথুর সঙ্গে। এদিকে, নারদকাণ্ডে যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ঘিরে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইপিএস অফিসার মির্জার সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা বর্তমান রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
[ ম্যাথুকে মির্জার কাছে 'রেফার' করা মুকুল রায়ের কী প্রতিক্রিয়া গ্রেফতারি নিয়ে]
[ নারদা কাণ্ডে 'সকলের বিরুদ্ধে 'ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোচ্চার ম্যাথু স্যামুয়েলস ]