১৩ জনই শেষ নয়, নারদকাণ্ডে সিবিআই স্ক্যানারে আরও ১৭
কলকাতা, ১৮ এপ্রিল : নারদকাণ্ডে সিবিআই স্ক্যানারে আরও ১৭ জন। সোমবার হাইকোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশের পর যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে, তাঁরাই শেষ নয়, তালিকা আরও দীর্ঘ। সেই দীর্ঘ তালিকা থেকে ১৭ জন রয়েছেন সিবিআই স্ক্যানারে। তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআইএর তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, এঁরাও কোনও না কোনওভাবে নারদ-কাণ্ডে জড়িত।
সিবিআই সূত্র জানা গিয়েছে, এই ১৭ জনের মধ্যে অনেকেই যথেষ্ট প্রভাবশালী রয়েছেন। তাঁদের নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। তার আগে একে একে অভিযুক্তদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। তাঁদের সঙ্গে ১৭ জনের যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা হবে। তারপরই পদক্ষেপ নেবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গতকালই নারদ কাণ্ডে ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সাংসদ, মন্ত্রী, প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ শাসকদলের ১২ জন নেতার নাম রয়েছে এফআইআর-এ। নাম রয়েছে এক দুঁদে আইপিএস অফিসারেরা। দুর্নীতি দমন আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারা যুক্ত করা হয়েছে এই এফআইআর-এ। টাকা দেওয়া ও নেওয়ার ভিডিও ফুটেজে প্রমাণিত এই ঘটনায় অপরাধ হয়েছে।
তবে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানতে নারাজ এই ঘটনায় কোনও অপরাধ প্রমাণ হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণেই এফআইআর বলে তাঁর যুক্তি। তাই রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে এই এফআইআর-এর। আইনি লড়াইয়েও নামতে চলেছে তৃণমূল। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে অভিযুক্তে তৃণমূল নেতাদের কথায়। পরোক্ষে বিরোধীরা রাস্তায় নামছে অভিযুক্তদের বরখাস্তের দাবিতে।
নারদকাণ্ডে এফআইআর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কারণের তত্ত্ব খারিজ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আদালতের নির্দেশে এফআইআর কখনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থে হতে পারে না।