বিচার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল, বিবৃতিতে জানাল সিবিআই
তিন বিধায়কের এভাবে গ্রেফতার নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে তাঁর অনুমতি না নিয়ে ‘বেআইনি' কাজ করেছে সিবিআই। এমনটাই জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যয়। একই সঙ্গে সিবিআই যেভাবে গ্রেফ
তিন বিধায়কের এভাবে গ্রেফতার নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে তাঁর অনুমতি না নিয়ে 'বেআইনি' কাজ করেছে সিবিআই। এমনটাই জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যয়। একই সঙ্গে সিবিআই যেভাবে গ্রেফতার করেছে বিধায়কদের তাতে চরম ক্ষুব্ধ তিনি।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ''ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। শুধু বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বিধায়কদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
যদিও এই অবস্থায় কার্যত বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআই তাঁদের বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গত ৭ মে তিনি তদন্তকারী সংস্থাকে ওই অনুমতি দিয়েছেন বলে জানাল সিবিআই। আর সেই অনুমতিতে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ সিবিআই।
সকালে গ্রেফতার করা হয় তিন বিধায়ক সহ প্রাক্তন মেয়রকে
নারদ মামলায় (narad case) তৎপরতা সিবিআই-এর। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim) , সুব্রত মুখোপাধ্যায় (subrata mukherjee) ছাড়াও মদন মিত্র (madan mitra) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (sovan chatterjee) বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই-এর বিশেষ দল। তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এদিন সকালে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনীর টিম নিয়ে চেতলায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই-এর বিশেষ দল। অন্যদিকে সিবিআই-এর দফতরে একে একে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতায় প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।
একাধিক জনপ্রতিনিধি বেআইনি ভাবে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে
গ্রফতারি নাকি আটক তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। জল্পনা তৈরি হয় চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআী। যদিও পরে ধোঁয়াশা কাটান সিবিআই আধকারিকরা। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে সিবিআই। সেখানে তাঁরা জানান, চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সকলের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। সেই অনুমতির ভিত্তিতে দ্রুত চার্জশিটও জমা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি চলবে তদন্ত প্রক্রিয়া। সিবিআই-এর বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, নারদ স্টিং অপারেশনে একাধিক জনপ্রতিনিধি বেআইনি ভাবে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তদন্তের পর এঁদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এরপরেই তদন্তের প্রয়োজনে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে নিজাম প্যালেস
অন্যদিকে তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক সহ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নিজাম প্যালেস। দফায় দফায় ইট বৃষ্টি। ইট ছোড়া হয় সিবিআই দফতরকে লক্ষ্য করে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূল কর্মীদের। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন নেতা কর্মীরা। ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। পালটা আটকান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। করেন পাঠিচার্জ। লাঠির আঘাতে বেয়া কয়েকজন আহত বলে খবর। তবে কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও নিজাম প্যালেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।