নারদাকাণ্ডে ধৃত আইপিএস মির্জার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত, উঠছে চা়ঞ্চল্যকর তথ্য
গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
হাইপ্রোফাইল ঘুষকাণ্ড নারদা মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এদিন নিজাম প্যালেসে এই অফিসার নারদাকাণ্ডের জেরার জন্য হাজির হলে তাঁর জেরার পর্বের পরই গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়।
২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়ের তোলপাড় করা ঘটনা
২০১৬ সালে তখন সবেমাত্র গোটা রাজ্য রাজনীতি সেজে উঠছে বিধানসভা ভোট ঘিরে। এমন এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিক ম্যাথ্যু স্যামুয়েলসের নারদা স্টিং অপরেশন সামনে আসে। যে স্টিং ভিডিওতে দেখা যায়, রাজ্যের তাবড় তৃণমূল নেতা সৌগত রায় থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, তৎকালীন তৃণমূলের মেয়র শোভন চট্টোধ্যায় সহ আইপিএস মির্জাকে দেখা যায় ঘুষের টাকা নিতে। আর সেই ভিডিও ঘিরে শুরু হয় তোলপাড়।
মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতারির কারণ
নারদা মামলায় জল বহুদূর পর্যন্ত গড়াতে থাকে। সিবিআই তদন্তে নেমেই আইপিএস মির্জাকে জেরায় রাখে, চলে তাঁর উপর নজরদারি। তবে, সিবিআইয়ের জেরার সময় ৩ কারণে মির্জাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথম জেরারর সময় কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিচ্ছিলেন না মির্জা। দ্বিতীয়ত, জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছিলেন না। তৃতীয়ত, বহু উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বাংলার এই পুলিশকর্তা। এমনই অভিযোগ তুলে সিবিআই এদিন নিজাম প্যালেসের দফতরেই মির্জাকে গ্রেফতার করে নেয়।
মির্জার গ্রেফতারিতে কোন কোন জায়গা খতিয়ে দেখা হবে!
মূলত , নারদা স্টিং ভিডিওতে দেখা যায়, টাকা নেওয়ার সময় আইপিএস মির্জা জনৈক ব্যক্তিত্বকে ফোনে বলতে থাকেন 'এক কোটি টাকা', 'সত্তর লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে'। সিবিআইয়ের প্রশ্ন , সেই সময় কাকে টাকা হিসেব দিচ্ছিলেন এই পুলিশ কর্তা। ফোনের ওপারে আসলে কে ছিলেন? এর নেপথ্যে কোনও প্রভাবাশালী তত্ত্ব আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা শুরু করবে সিবিআই।
[ 'আরও ধরা পড়বে, জেলে রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না'! মির্জার গ্রেফতারি নিয়ে সরব সুজন-দিলীপরা]
[ উৎসবের মরশুমে ভারতে বড় হামলার ছক আল কায়েদা, আইএস জঙ্গিদের]