অবশেষে শেষকৃত্য সম্পন্ন নানুরের বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের
বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই এর শেষ কৃত্য সম্পন্ন করা হল।
দীর্ঘ সময়ের টালবাহনার পর, বুধবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার উদ্ধারণপুর ঘাটে বীরভূম জেলার নানুর এলাকার বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই এর শেষ কৃত্য সম্পন্ন করা হল।
মৃতদেহ নিয়ে যেতে পুলিশের দেওয়া সব শর্ত মেনে ,মঙ্গলবার গভীর রাতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা ও বীরভূম জেলার বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল।
বুধবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে হেঁটে আসা হয় প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে বাসাপাড়া গ্রামে। সেখান থেকে গাড়ি করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় উদ্ধারণপুর।
মঙ্গলবার রাতে যখন পুলিশ মৃতের পরিবারকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়, সেই সময় কয়েকটি শর্ত দেয়, তার অন্যতম হল যে ওই মৃতদেহ নিয়ে যেন কোন মিছিল বের করা না হয়। সেই মত এদিন সকালে কোন মিছিল বের করা হয় নি তবে, গ্রাম থেকে বাসাপাড়া অবধি হেঁটে আসেন অনেক বিজেপি কর্মী সমর্থক।
তবে পুলিশকে বিধতে ছাড়েন নি শ্যামাপদ মন্ডল। তিনি বলেন যে অভিযুক্ত বাকিদের ধরতে তারা জেলার পুলিশ সুপার অফিসের সামনে ধর্না অবস্থান চালিয়ে যাবেন। যদি ১৫ তারিখের মধ্যে বাকি অভিযুক্তদের ধরা না হয় তাহলে তারা পুরো জেলাকে স্তব্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে মৃতের স্ত্রী চায়না গড়াই জানিয়েছেন যে পুলিশের ওপর কোনো আস্থা নেই তার। তিনি চান এই খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত করা হোক। এর সঙ্গে তার শিশুর দেখভাল করার জন্য একটি চাকরির আবেদন জানান তিনি।
এই খুনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জন কে। অভিযোগ পত্রে নাম থাকা অন্যতম ব্যক্তি হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান। তাদের এখনও ধরা হয়নি। এলাকায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
[বাংলায় নতুন ট্রাফিক আইনের ভবিষ্যৎ! বার্তা দিলেন মমতা ]
শুক্রবার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে দলের পতাকা লাগানো কে কেন্দ্র করে তৃণমূল কনগ্রেসের লোকদের সাথে একটি বচসার সময় গুলি বিদ্ধ হন স্বরূপ গড়াই। রবিবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। মৃতদেহ সোমবার কলকাতায় ময়নাতদন্তের পর কলকাতায় দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ।
মৃতের পরিবারের সদস্যরা এই দেহ না নিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ ওই দেহ নিয়ে চলে যায় বোলপুর হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতে মৃতদেহ আনতে গেলে চায়না গড়াই কে পুলিশের অনুমতি আনতে বলে হাসপাতাল । এনিয়ে ও টালবাহানা চলে, বিজেপি সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করে। পরে অনেক রাতে শর্ত সাপেক্ষে পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ১২০০০ কোটির বিনিয়োগ! ১ লক্ষ কর্মসংস্থানের হদিশ মুখ্যমন্ত্রীর]