ছাপাখানার ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল! কীভাবে? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের
ত্রিপল কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কাঁথি থানায় ইতিমধ্যে শুভেন্দু এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে সেচ দফতরে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার ক
ত্রিপল কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কাঁথি থানায় ইতিমধ্যে শুভেন্দু এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে সেচ দফতরে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে রাখাল বেরা।
একদিকে তাঁর বিরুদ্ধে এফআরআর অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ রাখালকে গ্রেফতার করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যায়, ২ দশক ধরে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসাবে কাজ করে গিয়েছেন রাখাল। সামান্য ছাপাখানার ব্যবসায়ী থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মালিক রাখাল! তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
লক্ষাধিক টাকার মালিক রাখাল? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের
রাখাল বেরা, চঞ্চল নন্দী- রবিবার দুজনকে ঘিরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের দাবি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এই দুজনের যুগলবন্দিই চাকরির নামে প্রতারণা চক্র চালিয়ে গিয়েছে কয়েক বছর। চাকরি দেওয়ার নাম করে একের পর এক প্রতারণা। আর সেখান থেকেই লক্ষাধিক টাকার মালিক রাখাল? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যে রাখালকে জেরা করছেণ তদন্তকারী আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে পৌঁছতে রাখালকে আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্চে।
সমবায় ব্যাঙ্কের নথিপত্র ছাপা হত
এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রাখাল ও চঞ্চলের বাড়ি কাঁথিতেই। পূর্ব মেদিনীপুরের সূত্রে ধরেই ওঁরা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশের দাবি। তবে আদৌতে ছাপাখানার ব্যবসায়ী রাখাল। মানিকতলাতে একটি ছাপাখানাও রয়েছে রাখালের। আর সেই কারখানার আড়ালেই তাঁর কুকীর্তি চলত বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্ত সংবাদ বলছে কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর পারিবারিক ব্যবসা, ফ্ল্যাট-সবেরই দেখভাল করতেন রাখাল বেরা। জানা যাচ্ছে কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারী এলে তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসাবে থাকতেন রাখাল। এমনকি একাধিক অনুষ্ঠানে রাখালকে শুভেন্দুর সঙ্গেই দেখা যেত। এমনটাই তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে এক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী তথ্যও এসেছে পুলিশের হাতে। পূর্ব মেদিনীপুরের যাবতীয় সমবায় ব্যাঙ্কের নথিপত্র ছাপা হত রাখাল বেরার ছাপাখানা থেকেই।
নজরে চঞ্চল নন্দীও
আবার পূর্ব মেদিনীপুরের সূত্র ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ চঞ্চল নন্দীও। তিনি কাঁথি পুরসভায় ২০১৭ সালে স্থায়ী চাকরি পান। তার আগে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করতেন। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কার্যকলাপে সহায়তা করতেন বলে জানা গিয়েছে।
একের পর এক অভিযোগ!
ইতিমধ্যে রাখালকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, রাখাল বেরার বিরুদ্ধে নতুন করে ফের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে মানিকতলা থানা-সহ বিভিন্ন থানার পুলিশের কাছে। বিভিন্ন জেলার প্রান্ত থেকে ১০ থেকে ১২ জন প্রতারিত চাকরিপ্রার্থী নতুন করে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। পুলিশের কাছে প্রত্যেকের অভিযোগ, এই রাখাল বেরা ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে সেচ দফতরের 'গ্রুপ-ডি' পদে চাকরির প্রতিশ্রুতিতে দিয়েছিলেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে দু'লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। টাকা দিয়েও কেউ চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। তাঁরা সবাই নতুন করে অভিযোগ দায়ের করছেন। শুধু মানিকতলা থানাতেই এদিন ৮-১০টি নতুন অভিযোগ জমা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গণতন্ত্রে আস্থা নেই মমতার, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে বিস্ফোরক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়