১০৮ প্রদীপ জ্বালিয়ে কালী রূপে পূজিতা নলাটেশ্বরী, পাশেই মাজার সম্প্রীতির বার্তাবাহক
হিন্দুদের ৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম শক্তিপীঠ নলাটেশ্বরী। কথিত আছে, এখানে সতীর গলার নলি পড়েছিল। নলাটেশ্বরী থেকেই শহরের নাম নলহাটি। ঝাড়খণ্ড সীমান্তের শহর নলহাটি। এখানকার পাথরশিল্পের কদর রয়েছে সারা ভারতে। মুলত ওই শিল্পের উপর নির্ভর করেই এলাকায় সমৃদ্ধি ফেরে। নলাটেশ্বরী মন্দিরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এখানে মন্দিরের পিছনেই রয়েছে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাজার। যা সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।

নলাটেশ্বরী মন্দিরে দুবার বিশেষ পুজো হয়। দুর্গাপুজোর চারদিন মা কে দুর্গাপুজো রুপে পুজো করা হয়। আর কালীপুজোর দিন মা নলাটেশ্বরীকে কালী রুপে পুজো করা হয়। মন্দিরের পুরোহিত নন্দলাল বন্দ্যোপাধায় বলেন, "দুর্গা পুজোর সময় শুধুমাত্র মায়ের নব পত্রিকা আনা হয় না। তাছাড়া পুজো চারদিন মায়ের সমস্ত আচার মেনে পুজো করা হয়। কালী পুজোয় সকালে মঙ্গল আরতি করা হয়। তারপর শুরু হয় নিত্যপুজো। রাত্রে ১০৮ প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের বিশেষ আরতি করা হয়।
নিশি অমাবস্যায় মায়ের মন্দিরে হোম যজ্ঞ করা হয়। মাটির প্রদীপ, মোমবাতি আর এল ই ডি লাইটে ঝলমল করে মন্দির চত্বর। বহু মানুষ মনস্কামনা পুরন করতে মায়ের সামনে পাঁঠা বলি দেন"। তবে কালীপুজোর দিন স্থানীয় মানুষের সমাগম হয় বেশি। বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন। কিন্তু সংখ্যায় কম। শুধুমাত্র যারা মানসিক রাখেন তারাই কালী পুজোর রাতে আসেন নলহাটিতে। শুধুমাত্র রাত্রি বাসের ব্যবস্থা না থাকায় পুন্যার্থীরা আসতে চান না বলে মন্দিরের সেবাইতদের দাবি।