কেওড়াতলায় নবারুণ ভট্টাচার্যের অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন
শুক্রবার বিকেলে কেওড়তলা মহাশ্মশানে অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হল সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্যের। শেষ মুহূর্তে তখন আকুল কান্না ভক্তদের।
গতকাল বিকেল ৪-২০ মিনিটে মারা যান নবারুণ ভট্টাচার্য। রাতভর তাঁর মরদেহ ছিল পিস হাভেনে। আজ সকাল ন'টায় চিরনিদ্রামগ্ন এই সাহিত্যিককে নিয়ে যাওয়া হয় ক্রিক রো-তে সিপিআই (এমএল) দফতরে। তিনি দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন গণসাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ছিলেন। সেখানে তাঁর মরদেহ ঢেকে দেওয়া হয় রক্তপতাকায়। দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য
নবারুণবাবুর মরদেহ নিয়ে এর পর যাওয়া হয় কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায়। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ। এই কলেজ স্ট্রিটেই এক সময় দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। সেখানে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। আসেন কবি শঙ্খ ঘোষ। অন্যান্য সাহিত্যিকরাও আসেন। যতক্ষণ নবারুণবাবুর মরদেহ শায়িত ছিল কলেজ স্ট্রিটে, ততক্ষণ সেখানে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ। সেখান থেকে দেহ পৌঁছয় সাহিত্যিকের গল্ফ গ্রিনের বাড়িতে। মহাশ্বেতা দেবী ছেলেকে শেষবারের মতো দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অসংখ্য গুণমুগ্ধ সাহিত্যিককে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গল্ফ গ্রিন থেকে মরদেহ যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য।
নবারুণবাবুর প্রয়াণে বাংলা সাহিত্যে ইন্দ্রপতন ঘটল। এই ক্ষতি অপূরণীয়।