করোনা পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ, রাজ্যে কোনও অক্সিজেন সংকট নেই, জানিয়ে দিল নবান্ন
করোনা পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ, রাজ্যে কোনও অক্সিজেন সংকট নেই, জানিয়ে দিল নবান্ন
অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের। রাজ্যের সব হাসপাতালে যাতে সহজে অক্সিজেন পৌঁছনো যায় তার জন্য পাইপলাইন তৈরির জটিলতা কাটানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন এবার থেকে হাসপাতালে সুপারের অনুমতিতেই হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের পাইপলাইন তৈরি করা হবে। যার খরচ বহন করবে নবান্ন। ১৫ মে- মধ্যে রাজ্যের আরও ৪১টি হাসপাতালে পাইপলাইনে অক্সিজেন পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হবে। এবং রাজ্যে আরও ৫৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি।
বাড়ছে করোনা
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। বাড়ছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। অনেকেই বাড়িতে রয়েছেন। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা রিপোর্ট দেরিতে আসছে। এরকম নানা বিধ সমস্যার মুখে রাজ্যের মানুষ। তার সঙ্গে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় হিমসিম খাচ্ছে রাজ্যের হাসপাতাল গুলি।
নবান্নে বৈঠকে মুখ্যসচিব
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সব রাজ্যের জেলা শাসকরা। সব জেলার হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন মুখ্যসচিব। জেলা হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ কেমন ছিল তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই একাধিক জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়ে গিয়েছে। যদিও নবান্নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে রাজ্যে কোনও অক্সিজেন সংকট নেই।
অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
রাজ্যের সব হাসপাতালে যাতে অক্সিেজন সরবরাহে কোনও ঘাটতি না থাকে তার জন্য বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে হাসপাতালের সুপারের অনুমতিতেই অক্সিজেনের পাইপলাইন তৈরি করা যাবে হাসপাতালে। তার যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। ১০৫টি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন পাইপলাইনের মাধ্যমে যায়। আগামী ১৫ মে-র মধ্যে রাজ্যের আরও ৪১টি হাসপাতালে অক্সিজেনের পাইপলাইন তৈরি করা হয়ে যাবে।
অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত
রাজ্যে অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় আরও ৫৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ২৪ পরগনাতেই ৭টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলার বড় হাসপাতালগুলিতে লিকুইড অক্সিেজন মজুত রাখা হবে। সেখান থেকে পাইপলাইনে মাধ্যমে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করা হবে।