ঘূর্ণিঝড় সিতরাং ধেয়ে আসবে বাংলা অভিমুখে! দুর্যোগ মোকাবিলায় ৩৫ বাহিনী প্রস্তুত নবান্নের
ঘূর্ণিঝড় সিতরাং ধেয়ে আসবে বাংলা অভিমুখে! দুর্যোগ মোকাবিলায় ৩৫ বাহিনী প্রস্তুত নবান্নের
উৎসবের মরশুমে ফের বাংলায় হানা দিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। কালীপুজোর মুখেই ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের সম্ভাব্য গতিপথ বাংলাদেশ ও পশ্চিবঙ্গ উপকূল। ফলে আলোর উৎসবে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা থাকছে। শুক্রবার নবান্নের তরফে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় রূপরেখা তৈরি করে ফেলল। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাহিনী।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নবান্নের
শুক্রবার সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উপকূলবর্তী জেলাগুলির ডিএম ও এসপিরাও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের আরও কিছু জেলার ডিএম ও এসপিরা। যদিও এখনও জানা যায়নি ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের গতিবেগ কত হবে, কোথায় আছড়ে পড়বে!
৩৫টি দল ঝাঁপিয়ে পড়বে উদ্ধারকার্যে
আবহায়া দফতর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভানা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের। তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। নবান্নে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০টি এসডিআরএফ, ১৫টি এনডিআরএফ দলকে দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি রাখতে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে কোনও প্রভাব পড়লে ৩৫টি দল ঝাঁপিয়ে পড়বে উদ্ধারকার্যে।
দীপাবলিতে বাংলার আকাশের মুথভার
প্রশাসনের তরফে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং শুরু করা হযেছে। এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাংলা ও বাংলাদশের উপকূলে যেহেতু আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেহেতু বাংলার পাশাপাশি বাংলাদেশও তটস্থ। সোমবার কালীপুজো, বাংলায় মা কালীর আরাধনার পাশাপাশি দেশজুড়ে পালিত হবে দীপাবলি। তাই তার আগে বাংলার আকাশের মুখ ভার।
কালীপুজের দিনেই ঘূর্ণিঝড়ের হানা!
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ অক্টোবর শনিবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তা নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার। আর ২৪ অক্টোবর সোমবার তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই সিস্টেম বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।
ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিমি গতিবেগ!
আবহিবদরা মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে ২৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ফলে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল উত্তাল হয়ে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। এর ফলে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ২৪ তারিখ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ভারীবৃষ্টি হতে পারে।
অবস্থা বুঝেই ব্যবস্থা মোকাবিলা বাহিনীর
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি শনিবার আরও স্পষ্ট করে জানাতে পারবে আলিপুর হাওয়া অফিস। কোন দিকে ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের অভিমুখ, কত কিলোমিটার বেগে তা ধেয়ে আসতে পারে অভিমুখে তা জানা যাবে তারপরই। আপাতত প্রস্তুতি সেরে রাখছে নবান্ন। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাহিনী প্রস্তুত রাখা হচ্ছ। অবস্থা বুঝেই তারা ব্যবস্থা নেবে।