একের পর এক দুর্নীতিতে চরম ক্ষুব্ধ মমতা? রাতারাতি স্কুল শিক্ষা কমিশনার বদল নবান্নের
স্কুল শিক্ষা নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে! কার্যত আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন নিয়োগের অভিযোগ। যা নিয়ে কার্যত একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা শিক্ষা দফতরের। প্রবল অস্বস্তিতে নবান্ন। আর এর মধ্যেই রাতারাতি স্
স্কুল শিক্ষা নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে! কার্যত আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন নিয়োগের অভিযোগ। যা নিয়ে কার্যত একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা শিক্ষা দফতরের। প্রবল অস্বস্তিতে নবান্ন। আর এর মধ্যেই রাতারাতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে বদলি করা হয়েছে।
যা নিয়ে যদিও চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সত্য ফাঁস করে দেওয়াতেই নাকি বদলি। আর এই বিতর্কের মধ্যেই স্কুল শিক্ষা কমিশনারকে বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। আর এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা। একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসার পর অস্বস্তি ঢাকতেই এহেন সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রশাসনের? উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক কারবারীরা।
আচমকাই এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা
নিয়োগ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রুপ সি-ডি, দ্বাদশ-একাদশ সহ একাধিক নিয়োগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই তদন্ত করছে। আর এর মধ্যেই রাতারাতি সিদ্ধান্ত। বদলি করা হল স্কুল শিক্ষা কমিশনারকে। রাজ্য সরকারের হঠাত এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আইএএস অরূপ সেনগুপ্তকে রাতারাতি ওই পদে নিয়ে আসা হয়েছে। সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে এহেন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
নজর রাখছেন মমতা
এহেন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজ্যের কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের তরফে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই দফতরের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। খোদ স্বরাষ্ট্রসচিব এই দফতরের সমস্ত কাজকর্ম দেখেন। ফলে অনেকেই মনে করছেন যে পুরো বিষয়টির উপর খোদ নজর রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধও তিনি। আর সেই কারণেই রাতারাতি এহেন সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।
কমিশনার হিসাবে স্থায়ী কেউ ছিলেন না
যদিও এই বিষয়ে নবান্নের তরফে কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে দাবি, স্কুল শিক্ষা কমিশনার হিসাবে স্থায়ী কেউ ছিলেন না। শুভ্র চক্রবর্তীর কাঁধেই অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে রাতারাতি তাঁকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফলে সেই জায়গাটি ফাঁকা হয়ে যায়। আর এরপরেই আইএএস অরূপ সেনগুপ্তকে স্কুল শিক্ষা কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হল।
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
বলে রাখা প্রয়োজন, শিক্ষা দফতরের অধীনে উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিশেষ সচিব পদমর্যাদায় বিশেষ কমিশনার হিসাবে কাজ করছিলেন অরূপ সেনগুপ্ত। অন্য দফতর থেকে আরেক জায়গাতে বদলি করা হল তাঁকে। আর এই বদলি ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এমনকি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।