রাজ্যের তৃণমূল সরকারের নীতিবিরুদ্ধ বনধ, সব খোলা রাখতে বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
রাজ্যের ১০৮ পুরসভা নির্বাচনে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। তার বিরোধিতা করে নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল- বনধ রাজ্য সরকারের নীতিবিরুদ্ধে। তাই কোনও বনধ পালন হবে না।
রাজ্যের ১০৮ পুরসভা নির্বাচনে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। তার বিরোধিতা করে নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল- বনধ রাজ্য সরকারের নীতিবিরুদ্ধে। তাই কোনও বনধ পালন হবে না। সোমবার রাজ্যের সমস্ত কিছু খোলা থাকবে। রাজ্যের সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।
রাজ্য সরকারের জারি করা নোটিশ, উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার বাংলায় কোনও বনধ হবে না। রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ, দোকান-বাজার, অফিস-আদালত খোলা থাকবে। সমস্ত যানবাহন চলাচল করবে। রাজ্যে বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতা করে রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের পক্ষ থেক সাফ জানিয়ে দেওয়া হলস সোমবার সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে।
বিজেপির তরফে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ করে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়। আর তারপরই নবান্নের স্পষ্ট ঘোষণা, সাধারণ মানুষকে জবরদস্তি বনধ করতে বাধ্য করা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার নবান্ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে, বনধ হলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও জীবিকায় বিস্তর প্রভাব পড়ে। রাজ্যের সরকার চায় না বাংলায় ফের তেমন সংস্কৃতি বিস্তার লাভ করুক। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রোজকার মতোই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্কুল-কলেজ, দোকান-বাজার, কল-কারখানা স্বাভাবিক নিয়মে খোলা রাখার।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বনধের কারণে কোনও সরকারি কর্মী ছুটি পাবেন না। যদি কোনও কর্মী অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁর বেতন কাটা যাবে। যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ফলে কোনওরকম অনুপস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না। আর যদি জোরপূর্বক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, দোকান-বাজার বন্ধ করার চেষ্টা করা হয় বা ভাঙচুর করা হয়, তবে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধেও।
বিজেপি বনধ ডাকার অদ্যবধি পরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জরুরি বৈঠক ডাকেন। কিনি সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কমিশনারেটদের নিয়ে বৈঠক করেন। বনধ রুখতে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা নিয়ে সবিস্তারে জানান। রবিবার রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনর সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি।
রাজ্যের পুরভোট বহু জায়গায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। বুথ দখল, ছাপ্পা, রিগিং, বহিরাগত গুন্ডা, ভুয়ো ভোটারদের নিয়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিজেপি বনধের ডাক দেয়। বিজেপি জানায় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। পুলিশকে নীরব দর্শক করে শাসকদল ভোট লুঠ করে বলে অভিযোগ ছিল বিজেপির।