ব্যান্ডেলে ফাঁকা বাড়িতে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকাকে গলা কেটে খুন
হুগলির ব্যান্ডেলের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবেই খুন হয়ে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপিকা। প্রত্নতাত্বিক গবেষণার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। লুটের উদ্দেশ্যে খুন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
হুগলির ব্যান্ডেলের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবেই খুন হয়ে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপিকা। প্রত্নতাত্বিক গবেষণার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। লুটের উদ্দেশ্যে খুন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
ব্যাণ্ডেলের কাজিরাঙা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ইতিহাসের অধ্যাপিকা সুলেখা মুখোপাধ্যায়। তিনি হুগলির ইতিহাসের অনুশীলনের সম্পাদিকাও ছিলেন। প্রত্মতাত্বিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বাড়িতে একাই থাকতেন সুলেখা মুখোপাধ্যায়। পরিচারিকারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে অনেকবার ডাকাডাকি করা হয় তাঁকে। এরপর প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে যান। খবর দেওয়া হয় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ গিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে।
বাড়ির দোতলায় রক্তাক্ত দেহ পড়ে ছিল। ঘরের মেঝেয় পড়েছিল দেহটি। গলায় ছিল ছুরির দাগ। মাথার একপাশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কাপড়ের আড়াল থেকে হাত বেরিয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘর লণ্ডভণ্ড ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ির আলমারি ভাঙা ছিল। ঘর থেকে একজোড়া রক্তমাখা গ্লাভসও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে সময় দেহ উদ্ধার হয়, সেই সময় ঘরে টিভি চলছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের অনুমান ছুরি দিয়ে খুনের পর, মৃত্যু নিশ্চিত করতে নোড়া দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। লন্ডভণ্ড ঘর দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লুটের উদ্দেশ্যেই এই খুন। পুরো বাড়ি ঘুরে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বুধবার রাতে তিনতলায় ছাদের দরজা দিয়ে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেছিল। একইসঙ্গে বাড়ির প্রত্নতাত্বিক সংগ্রহশালা থেকে বেশ কিছু জিনি খোয়া গিয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
এলাকার বাসিন্দা এবং আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদও করেন পুলিশ আধিকারিকরা। দুই পরিচারিকাকেও একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।