শ্যেফের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ বাড়িওয়ালির বিরুদ্ধে
কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি : রাজারহাটের শপিং মলের রেস্তোরাঁর এক শ্যেফের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চাল্য ছড়াল এলাকায়। শনিবার গভীর রাতে পাতিপুকুরের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। পরিবারের তরফে তোলা হয়েছে। খুনের অভিযোগ, শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম প্রিয়জিৎ কুমার (২৩)। দুর্গানগরে এক মহিলার বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন প্রিয়জিৎ। এই মহিলার বিরুদ্ধেই পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রিয়জিতের সঙ্গে আলাপ হয় ওই মহিলার। তারপর থেকে তারই বাড়িত থাকত প্রিয়জিৎ।
শনিবার সন্ধ্যায় মাকে শেষবার ফোন করেন প্রিয়জিৎ। মাকে ফোনে জানান, সন্ধ্যাবেলায় একটি বিয়েবাড়িতে যাওয়ার কথা আছে।
দমদম রেল পুলিশসূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার গভীর রাতে আপ লাইনের ধারে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় তা রেলের তরফেই তাদের জানানো হয়। প্রিয়জিতের মাথায় মুখে, এবং পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই মৃত্যুর পিছনে সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মহিলা ও প্রিয়জিতের সহকর্মীদেরও ডাকা হবে। প্রিয়জিতের পকেট থেকে সল্টলেকের একটি রেস্তোরাঁর বিল পাওয়া গিয়েছে। সেই রেস্তোরাঁতেও কথা বলবে পুলিশ। সেই রেস্তোরাঁর বিল প্রিয়জিতের কার্ড দিয়েই মেটানো হয়েছে। বিয়েবাড়ি যাওয়ার নাম করে কেন ও কার সঙ্গে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন প্রিয়জিৎ তা খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন ওই মহিলাও। প্রিয়জিতের মৃত্যুর খবর দিয়ে ওই মহিলাকে জিআরপি থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। সকালে তিনি প্রিয়জিতের জিনিসপত্র নিয়ে থানায় আসেন। কিন্তু কেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা।
আরও একটি বিষয় যা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে প্রিয়জিতের পরিবার তা হল, অভিযুক্ত মহিলা তাদের জানিয়েছেন, রাত ৩ টে পর্যন্ত প্রিয়জিতের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। আর এখানেই অসঙ্গতি। সময়টা নিয়েই রয়েছে দ্বন্ধ।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিলা।