দিঘার সমুদ্রে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ! বিকট গর্জন কি তবে মিসাইল-মহড়াতেই
দিঘার সমুদ্রে বিকট গর্জনের পর থেকেই ঘনীভূত রহস্য। কেন সেই বিকট আওয়াজ, তা স্পষ্ট হয়নি। সুপারসনিক জেট যাওয়ার কারণে এই বিকট গর্জন হতে পারে বলে সেনা তরফে জানানো হলেও এদিন ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে জল্পনা।
দিঘার সমুদ্রে বিকট গর্জন ঘিরে ফের ঘনীভূত হল রহস্য। সেদিন কি সত্যিই বিস্ফোরণ হয়েছিল? তা নিয়েই ফের উঠে পড়েছে প্রশ্ন। আর এই প্রশ্ন আরও উঠতে শুরু করেছে মাঝসমুদ্র থেকে রহস্যজনক যন্ত্রাংশ উদ্ধারের ঘটনায়। সোমবার সকালে শঙ্করপুর বন্দর থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রগর্ভে উদ্ধার হয় ভগ্নাবশেষ।
এদিন মাঝসমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে আসে বেশ কিছু ষন্ত্রাংশ। ওই ভগ্ন যন্ত্রাংশের সূত্র ধরে দিঘার সমুদ্রে বিকট গর্জনের রহস্যভেদ হতে পারে বলে ধারণা প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এই ভগ্নাবশেষ থেকে দু-দুটি লেখাও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। একটি যন্ত্রাংশে লেখা- 'অ্যারোস্পেস' ও 'এইচএএল ব্যাঙ্গালোর'। ওই যন্ত্রাংশগুলি শঙ্করপুর বন্দরে পুলিশি প্রহরায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
রবিবার সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, 'সুপারসনিক জেট' উড়ে গিয়েছিল দিঘার সমুদ্রপৃষ্ঠের খুব কাছ দিয়ে। অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাওয়ার কারণে এই বীভৎস আওয়াজ হতে পারে। কিন্তু এদিন ভগ্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধারের পর থেকেই অন্য কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে প্রশাসন মনে করছে। সেক্ষেত্রে মিসাইল পরীক্ষা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
তারই জেরে শঙ্করপুরে উদ্ধার হয়েছে ওইসব যন্ত্রাংশ। ওই ভগ্নাবশেষ জেট বিমানের অংশ হতে পারে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মিসাইল ছেড়ে ড্রোন ধ্বংসের মহড়ার ফলে এই ঘটনা ঘটতে পারে। মাঝ সমুদ্রে ওই জেট ভেঙে পড়ায় সেদিন বিকট আওয়াজ হয়েছিল বলেই ধারণা। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে সেই বিস্ফোরণ তত্ত্বই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মিসাইল পরীক্ষার ব্যাপারই যদি হয়ে থাকে কেন স্থানীয় প্রশাসনকে অন্ধকারে রাখা হল।
ভগ্নাবশেষ উদ্ধারের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যন্ত্রাংশ ও ভগ্নাবশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে ভগ্ন যন্ত্রাংশের গায়ে লেখা কথাগুলি উদ্ধার করে এই রহস্যের উন্মোচন করতে চাইছে প্রশাসন।