বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিজেপির হয়েই কাজ করে যাব! অবশেষে মুখ খুললেন মুকুল
অবশেষে মুখ খুললেন মুকুল রায়। গত ২৪ ঘন্টা আগে এই বিজেপি বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে তৃণমূলের সুব্রত বক্সির সঙ্গে মুকুলের বৈঠক ঘিরে তৈরি হয় জল্পনা। এমনকি বিজেপি ছাড়ছেন বলেও গুঞ্জন তৈরি হয়। যদিও সমস্ত জল্পনায় জল ঢাললেন তিনি। টুইট করে জানালেন, বিজেপিতে আছি।
জল্পনা বাড়ছিলই। ভোটের সময়েও সে ভাবে কথা বলতে দেখা যায়নি মুকুলকে। আর শুক্রবারের ঘটনা সেই জল্পনায় উস্কানি দেয় আরও। শুক্রবার বিধানসভায় শপথ নিতে গিয়ে এক সময়ের সহযোদ্ধা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
বিধানসভায় বাকি সময়টা চুপচাপই ছিলেন এ দিন। চুপচাপ কেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে এ দিন মুকুল রহস্য উস্কে বলেন, 'প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোনও না কোনও কারণ থাকে।' তারপর আবার বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে তাঁর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সুর বদলের ইঙ্গিত আরও প্রকট করে।
এরপর থেকেই গত ২৪ ঘণ্টা ধরে রাজনৈতিক মহলে মুকুলকে নিয়ে যে জল্পনা হয়েছে, তার জেরেই শনিবার নিজেই টুইট করলেন মুকুল রায়।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিজেপির সৈনিক হয়েই কাজ করব। আমার অনুরোধ সবাই সব জল্পনা বাদ দিন। আমি আমার রাজনৈতিক পথেই অবিচল আছি।'
এবার বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তরে টিকিট পান তিনি। নিজের মতো করে প্রচার চালিয়েছেন। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে তিনি। তারপরও তাঁর চোখে মুখে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
শুক্রবারের ঘটনাক্রমে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করতে শুরু করে, আবার পুরনো ফুলেই ফিরতে চলেছেন তিনি? যদিও বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই টুইটে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁদের মতে, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। নতুন কোনও কথা নয়।
সংবাদমাধ্যমে
জল্পনা
চলছিল
যে,
মুকুল
বাবু
বোধ
হয়
বিজেপি
ছেড়ে
তৃণমূলে
যেতে
পারেন।
সেটার
যে
কোনও
ভিত্তি
নেই,
সেটাই
পরিষ্কার
হয়ে
গেল।