মুসলিমরাই সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের শিরোভাগে! হিন্দুদের প্রতিবাদে সঙ্ঘবদ্ধতার অভাব
মুসলিমরাই সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের শিরোভাগে! হিন্দুদের প্রতিবাদে সঙ্ঘবদ্ধতা অস্পষ্ট
বাংলায় সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের শিরোভাগে আছেন মুসলিমরাই। হিন্দুরা আন্দোলন করছে, কিন্তু তাঁদের প্রতিবাদ অন্য পথে, অন্য মাধ্যমে। কিন্তু উভয় সম্প্রদায়কে একযোগে আন্দোলনে দেখা যায়নি। যাদবপুরও সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে আর পার্কসার্কাসেও তা সম্মিলিত হয়েছে, কিন্তু উভয় পথ ভিন্ন। আন্দোলনে সংহতির কোনও ছাপ পাওয়া যায়নি।
হিন্দু-মুসিলমের আন্দোলন ভিন্ন মঞ্চে
কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার নাগরিক সংশোধন আইন প্রণয়নের পর থেকেই গোটা দেশে আন্দোলন তীব্র আকার নিয়েছে। শাহিনবাগের মতোই আন্দোলন চলছে কলকাতার পার্কসার্কাসে। মুসলিম মহিলার সেই আন্দালনে সামিল। আবার যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরাও প্রতিবাদ আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁরা একমঞ্চে আসেননি।
আন্দোলন বিক্ষিপ্তভাবে, সঙ্ঘবদ্ধ নয়
স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলন বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছে, সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে না। তা হলে আন্দোলন আরও দীর্ঘপথ যেতে পারত। কলকাতা এবং প্রতিবেশী এলাকায় হিন্দু শরণার্থীরা বাস করেন। যেমন বাঁশদ্রোনি এলাকায় বহু শরণার্থী থাকেন। আবার পার্কসার্কাস মুসলিম অধ্যুষিত। কিন্তু ওই মুসলিম এবং হিন্দুরা এক জায়গায় আসেনি।
হিন্দু শরণার্থীরা সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব নয়
একসময় বামপন্থী সমর্থক হিন্দু শরণার্থীরা সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে সেভাবে সাড়া দিচ্ছে না এখন। তৃণমূল বা কংগ্রেস মিছিল বা বিক্ষোভে সামিল হলেও তার লাগাতার আন্দালনের রূপ নেয়নি। সাধারণ জনগণের নেতৃত্বে সাধারণ নাগরিকদের আন্দোলনের সমান্তরালভাবে চলেছে সেইসব আন্দোলন। তবে সারা বাংলায় রাস্তায় নেমে আন্দোলনের প্রথম সারিতে রয়েছেন শিক্ষার্থী এবং মহিলারা।
আন্দোলনের ভেদাভেদেই ভোট মেরুকরণের ভাবনা
বিজেপিও এই আন্দোলনের ভেদাভেদকে নিয়ে অঙ্ক কষতে শুরু করেছে। তারা চাইছিল মেরুকরণ ঘটাতে। আন্দোলনে মেরুকরণ হওয়ায় বিজেপির স্বাভাবিকভাবেই সেই সুবিধা পাবে। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার তো বলেই দিয়েছেন, "আমরা জানি মুসলমানরা আমাদের বিপক্ষে থাকবে, তবে আমরা অবশ্যই হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থন পাব, এবং সেই ভোটেই জিতব।"
কিছু অভিজাত হিন্দু সেই মুসলিমদের সঙ্গে আন্দোলনে
মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও বীরভূমের মতো জেলাগুলির হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে ঘরে ঘরে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি এবং আরএসএস কর্মীরা। মুর্শিদাবাদে ৬৬ শতাংশ মুসলিম। সেই জেলায় সিএএ-এর বিরুদ্ধে সামান্য কিছু অভিজাত হিন্দু সেই মুসলিমদের সঙ্গে আন্দোলনে রয়েছেন বলে দাবি। মালদহে মুসলিম জনসংখ্যা ৫১ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে বিজেপি রাজবংশীদের মতো আদিবাসী এবং বহুজন জাতকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আদিবাসীদের ভোট বিজেপির পক্ষে মেরুকরণের ফলে
গত লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসী রাজনীতিবিদ খগেন মুর্মু সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আদিবাসী ভোট যে বিজেপির দিকে গিয়েছে, তা পরিষ্কার খগেন মুর্মুর জয়ে। এরই মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি শাখা সক্রিয় এখানে। আদিবাসীদের গণবিবাহের আয়োজন করে তাঁরা মালদহের ভোট মেরুকরণ ঘটানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।
ইমরান নামলেন ঘোলা জলে মাছ ধরতে! অগ্নিগর্ভ দিল্লি নিয়ে 'রক্তক্ষয়-র কোন বার্তা ইসলামাবাদের