হিন্দু মন্দির সাজালেন মুসলিম ভায়েরা! সম্প্রীতির অনন্য নজির সুন্দরবনের পারঘাটায়
হিন্দু মন্দির নবরূপে সজ্জিত হল মুসলিম ভাইদের হাত ধরে। এক সম্প্রীতি অনন্য নজির বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পারঘাটা গ্রামে।
হিন্দু মন্দির নবরূপে সজ্জিত হল মুসলিম ভাইদের হাত ধরে। এক সম্প্রীতি অনন্য নজির বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পারঘাটা গ্রামে। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই বড় ঠাকুরের মন্দির ছিল ভগ্ন। ঘরের চাল ভগ্নদশায় রূপান্তরিত হয়েছিল। সাম্প্রদায়িকতার অনন্য নজির তৈরি হল এই মন্দির সংস্কারে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পরিবহন, শিক্ষা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজির উদ্যোগে তৈরি হল এই শনি মন্দির। প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নবরূপে সাজিত হল এই মন্দির। গ্রামে মুসলিম ভাইদের হাত ধরে তৈরি এই মন্দির সাম্প্রদায়িকতার মেলবন্ধন প্রায় ছয় মাস ধরে সংস্কার হয়।
এই মন্দির সংস্কার করে পারঘাটা গ্রামে নজির তৈরি হল। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান স্থানীয় শিক্ষক থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্টজনরা। বিশেষ করে মায়েরা এই মন্দির পেয়ে খুবই খুশি। দীর্ঘ ৬ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে মুসলিম ভাইরা এই মন্দির সংস্কার করেছেন সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে।
সাম্প্রদায়িকতার মেলবন্ধনের অনন্য মুখ ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, দলনেত্রী জাতপাতের উর্ধ্বে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার উন্নয়নের প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ পৌঁছে দিচ্ছেন ঘরে ঘরে। ওনার আদর্শে আমরা একজন সৈনিক। তাই দীর্ঘদিন ধরে এখানে এই পারঘাটা গ্রামে মন্দির সংস্কারে এগিয়ে এসেছি।
মন্দিরটি বেহাল ও ভগ্নদশায় ছিল। এখানে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থাকে। এটা প্রমাণিত হয় এটা সম্প্রীতির বাংলা। এখানে জাতপাত ধর্মীয় বিভাজন মানুষ মেনে নেন না। যেখানে যাই হোক সম্প্রীতির বাংলায় সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থাকে।