রাম মন্দির নির্মাণে বাংলার আগ্রহী শ্রমিকদের অযোধ্যায় পাঠাচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ
রাম মন্দির নির্মানের কাজে বাংলার আগ্রহী শ্রমিকদের অযোধ্যায় পাঠাচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। ঈদের দিন একথা জানান রাষ্ট্রীয় মঞ্চের রাজ্যের আহবায়ক আলি আবজল চাঁদ। এদিন তিনি জানান, রামমন্দির নির্মানে বাংলার যেসমস্ত নির্মান শ্রমীক স্বেচায় শ্রমদিতে ইচ্ছুক। তাদের অযোধ্যায় পাঠানোর সবরকম দায়িত্ব রাজ্যের রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চ নেবে। এমনকি অযোধ্যা থেকে বাংলায় ফেরার খরচাও সংগঠন বহন করবে বলেও তিনি জানান।
বর্তমান সময়ে করোনার জন্য আনলক চলছে। এইপর্বে কোন শ্রমীক বা কর সেবক যেতে চাইলে তাদের পূর্ন সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি, রাম মন্দির নির্মানে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ সবরকম পদক্ষেপ গ্রহন করতে চায়। কারণ রামমন্দির ও বাবরি মসজিদ নিয়ে কিছু মানুষ রাজনৈতিক ফায়দা তুলছে বরাবর। সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশ মেনে মন্দির, মসজিদ নির্মান করে এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে চায় সংগঠন। যা এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির সৃষ্টি হবে বলে তিনি মনে করেন।
রামমন্দির নির্মানের জন্য মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চকে নিয়ে ১৫ জনের একটি কমিটি তৈরি করেছেন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মার্গদর্শক ইন্দেশ কুমার। কমিটিতে রয়েছেন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের কেন্দ্রীয় সংযোজক ইসলাম আব্বাসি, জামসেদ খান, ওয়াইসি হায়দার সহ প্রমুখ। সুপ্রীম কোর্টের রায়ের পর রামমন্দির নির্মান নিয়ে জটিলতা কাটাতে এই কমিটি কাজ করেছে। এছাড়াও মুসলিমদের বোঝানো হয়েছে কেন অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রয়োজন। এবং বাবরের বংশোধর রামমন্দির নির্মানে সোনার ইট দেওয়ার কথা মুসলিমদের কাছে তুলে ধরা হয়।
ইসলামের মতে কোন বেআইনি ও বিতর্কিত জমিতে মসজিদ নির্মান করা যায়না। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ গত কয়েকবছর ধরে রাজ্যের সাধারন মুসলিমদের এইকথা বুঝিয়েছে বলে জানান আলি আবজল চাঁদ। তিনি বলেন, ৫ আগষ্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজোয় মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ সবরকম ভাবে সহযোগিতা করবে। বাংলায় সংগঠনের সদস্যরা সেদিন বিশেষ ভাবে সক্রীয় থাকবে। যাতে বাংলায় হিন্দু, মুসলামনের সম্পর্কে কেউ চিড় ধরাতে না পারে বলে জানান সংগঠনের কনভেনার অলি আবজল চাঁদ।