রমজান মাসে ভোট না করার আবেদন সংখ্যালঘু নেতাদের
একদিকে ভরা চৈত্র বৈশাখ মাসে কঠোর দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, অন্যদিকে পবিত্র রমজান মাসে যদি ভোট হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে মুসলিম ভোট কর্মীদের। তাই ওই সময়ে নির্বাচনের আশঙ্কা করে রমজান মাসে ভোট না করার আবেদন জানিয়েছেন সংখ্যালঘু নেতারা।
তাদের বক্তব্য, এর আগেও পঞ্চায়েত, লোকসভা নির্বাচন রমজান মাসে না করার আবেদন জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছইল বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি সেবার পথে নেমেও আন্দোলন করেছিলেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান,মুহাম্মদ নুরুদ্দীনদের মতো প্রভাবশালী নেতারা। আগামী বছর রোজা শুরু হবে এপ্রিল মাসে এবং মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঈদ হতে পারে। তাই মুসলিম নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন যেন রমজানে ভোট না করে।
এনিয়ে ফুরফুরা দরবার শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী জানান, যেকোন ধর্মের উৎসবের সময় ভোট করা উচিত হবে না। এতে ওইসব ধর্মের মানুষদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন। মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাসে নির্জলা উপবাস করে। নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে বেশি বেশি আল্লাহকে ডাকে, মসজিদে যায়। রাতে সেহরি খেতে হয়,সন্ধ্যায় ইফতার করতে হয়। বিভিন্ন সেবামূলক কাজও করতে হয়। সারাদিন উপোস থাকার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে। এই সময় মুসলিম ভোট কর্মীদের, পুলিশের সমস্যা হবে। তাছাড়া ভোটের সময় রাজনৈতিক হিংসা হলে তাতে রোজাদারদের সমস্যা হবে। পবিত্র মাসে নিজেকে নতুন গড়ে গড়ে মুসলিমরা। তাই এই মাসে ভোট না করার অনুরোধ জানাই।
পাশাপাশি, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, জমিয়তে আহলে হাদিসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরদাররাও রমজানে ভোট না করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছেন বলে জানান।
তাদের বক্তব্য, বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিপূর্বে আবেদন করা হয়েছে, যাতে রমজান মাসে নির্বাচন করা না হয়। কারণ, রমজান মাসে মুসলিমরা নিরম্বু উপবাস করে। সে কারণে তাদের বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করার জন্য প্রস্তুতি নিতে মহিলাদের দুপুর থেকে খাবার জোগাড়ের প্রয়োজন পড়ে। সেজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশেষ আবেদন, আগামী বিধানসভা নির্বাচন যাতে রমজান মাসে না হয়।