অধীর-গড়ে ‘হাত’ছাড়া জেলা পরিষদ, মঙ্গলবারই মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
মুর্শিদাবাদ, ২৩ সেপ্টেম্বর : অধীর-গড়ে হাতছাড়া হল জেলা পরিষদ। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ দখল করল তৃণমূল। ৪৩-০ ব্যবধানে অনাস্থা জিতে জেলা পরিষদে কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করে ছাড়ল শুভেন্দু-বাহিনী। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ থেকে কংগ্রেসের এই বরখাস্তের ঘটনাকে বিশ্বাসঘাতকদের শেষদিন বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারী।
তিনি এদিন ঘোষণা করেন মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী আসছেন মুর্শিদাবাদে। তার আগে মুর্শিদাবাদ জেলা তাঁকে উপহার দেওয়া হল। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে ম্যাজিক ফিগার তৃণমূলের হাতেই ছিল। ফলে অসহায় আন্তসমর্পণ ছাড়া উপায় ছিল না কংগ্রেসের। কংগ্রেস ও বাম শিবিরের কোনও সদস্যই এদিন ভোটাভুটিতে অংশ নেননি। ফলে ৭০ আসনের জেলা পরিষদে ৪৩-০-তে জিতে যায় তৃণমূল। উল্লেখ্য এই জেলা পরিষদে কার্যকরী সদস্য ছিলেন ৬৮ জন।
এই অনাস্থায় জয়ের নিরিখে বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩ জন। কংগ্রেসের সদস্য ১৪ আর বামফ্রন্টের ১১। পঞ্চায়েত ভোটের পর এই জেলা পরিষদের সমীকরণ ছিল- কংগ্রেস ৪২, বামফ্রন্ট ২৭ ও তৃণমূল ১। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর পাশা উল্টে গেল তিন-চার মাসের মধ্যে।
এদিন অনাস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার আগে জেলা পরিষদ ভবন চত্বর একটি সভা করেন শুভেন্দুবাবু। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার মুর্শিদাবাদে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরদিন মঙ্গলবার তিনি সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। তার আগে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন। এদিনই মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্বাসঘাতকদের শেষ দিন হয়ে গেল বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এই প্রথম বাম-কংগ্রেস ছাড়া অন্য হাতে উঠল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ক্ষমতা। নিজের গড়েই অসহায় অধীরের শুধু দেখা ছাড়া আর কিছুই একপ্রকার করার ছিল না। আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ভোটের ফল। অধীর-সাম্রাজ্যের পতনও সুনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই।