মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র, গ্রেফতার ৪
ফের প্রচুর পরিমাণে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করল মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ ।
ফের প্রচুর পরিমাণে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করল মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ । বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত জলঙ্গির কাছে ইসলামপুর থানার তেনাচুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ উদ্ধার করে । এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
এর আগেও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে । আর এই সময়ে ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ । কারণ এমনিতেই আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুরসভা নির্বাচন। তার ওপর এখন এমনিতেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তেজনা আছে । দিন কয়েক আগে জলঙ্গি এলাকায় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল করার সময়ে গুলি চালানো হয় । তাতে মৃত্যু হয় দুজনের । ফলে ফের এই জেলার, বাংলাদেশ সীমান্ত বর্তী এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
জেলার পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন মুর্শিদাবাদ জেলার । বাকি দুজন মালদার কালিয়াগঞ্জ এলাকার । কালিয়াগঞ্জের দুই জন এই এলাকায় অস্ত্রগুলি বিক্রি করার জন্য আসে । কোথা থেকে এই হাতে তৈরি করা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল ও কি উদ্দেশ্য এই জেলার দুজন সেগুলো কেনে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।
পুলিশ জানায় যে যাদের ধরা হয়েছে তারা হল জলঙ্গি এলাকার সরু সেখ, ডোমকলের হাবিবুর ইসলাম । এরা দুজন মালদার কালিয়াগঞ্জের সালাম সেখ ও নূর মোহাম্মদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কেনে ।
পুলিশ
জানায়
যে
তারা
শনিবার
বিকালে
গোপন
সূত্রে
খবর
পায়
যে
জলঙ্গির
কাছে
তেনাচুরা
এলাকায়
আধুনিক
আগ্নেয়াস্ত্র
বিক্রি
করা
হবে
।
তার
পর
সেই
এলাকায়
জেলার
পুলিশের
স্পেশাল
অপারেশন
গ্রুপ
অভিযান
চালিয়ে
প্রচুর
পরিমাণে
আগ্নেয়াস্ত্র
ও
গুলি
উদ্ধার
করে
।
পুলিশ
জানায়
যে
তাদের
কাছে
থেকে
সাতটি
7mm
পিস্তল,
14
টি
ম্যাগাজিন,
85টি
কার্তুজ,
একটি
কার্বাইন,
দুটি
কার্বাইন
ম্যাগাজিন
ও
একটি
মাসকট
উদ্ধার
করা
হয়েছে
।
জেলার পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলের ধারণা পুরসভা নির্বাচনের সময় ও তার আগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গন্ডগোল পাকানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে ও সেই জন্য এই অস্ত্র গুলি ব্যবহার করা হত । তার আগেই এই সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ । জেলা পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে তারা বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ও অভিযান আরও বাড়ানো হবে বলে ঠিক হয়েছে ।