চাপ রাখতে না পেরে ফারাক্কার গেট খুলতেই প্লাবন মুর্শিদাবাদ-মালদহে
ফারাক্কার ১০৮টি গেটের মধ্যে ২৫টি গেট দিয়ে জল পাস করানো হচ্ছিল। এদিন প্রবল জলের চাপ রাখতে না পেরে আরও ১৫টি গেট খুলে দেওয়া হয়। তাতেই বিপত্তি।
ফারাক্কার জল ঢুকে এবার প্লাবন মুর্শিদাবাদে। নতুন করে ভাসল মালদহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাও। প্রবল জলের চাপ রাখতে না পেরে মঙ্গলবার খুলে দেওয়া হয় ফারাক্কা ব্যারেজের ১৫টি গেট। আর তাতেই জলবন্দি মুর্শিদাবাদ ও মালদহ। ঘরবাড়ি খুইয়ে জলবন্দি মানুষ।
উত্তরবঙ্গে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে সমস্ত নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে ফারাক্কার ১০৮টি গেটের মধ্যে ২৫টি গেট দিয়ে জল পাস করানো হচ্ছিল। এদিন প্রবল জলের চাপ রাখতে না পেরে আরও ১৫টি গেট খুলে দেওয়া হয়। তাতেই বিপত্তি। জল ঢুকে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয় দুই জেলায়। গঙ্গার দুই পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলা প্লাবিত হয়।
মালদহে বিপদসংকেত দিচ্ছে মহানন্দা। জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ফলে বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছে চাঁচলের দু-টি ব্লকের বহু গ্রাম। যদুপুর, চন্দ্রপাড়া, বলরামপুর, কানাইপুরের মতো বহু গ্রাম জলমগ্ন। ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহের বেশ কিছু নদী তীরবর্তী এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
ফারাক্কা ব্যারেজের ছাড়া জলে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের গঙ্গা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকাও প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন। তিনি বলেন, একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়াই ফের নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জলবন্দি মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরানোর পাশাপাশি ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মালদহেও নতুন করে বন্যাপ্লাবিত স্থানগুলিতে ত্রাণ পাঠানোর তোড়জোড় চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।