মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে গরহাজির খোদ সভাপতি, তৃণমূলে যোগ-জল্পনা তুঙ্গে
জেলা কংগ্রেসের অনুষ্ঠান, সেই অনুষ্ঠানেই গরহাজির খোদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে নেই কেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খান?
জেলা কংগ্রেসের অনুষ্ঠান, সেই অনুষ্ঠানেই গরহাজির খোদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে নেই কেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খান? তবে কি আবু কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন? অধীর-ঘনিষ্ঠ এই নেতাও কি তবে তৃণমূলের নৌকায় উঠতে চলেছেন? তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জল্পনা।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের তরফে সম্প্রতি আয়োজন করা হয়েছিল একটি ইফতার পার্টির। সেই ইফতার পার্টিতেই গরহাজির কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু তাহের। এই ইফতার পার্টিতে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।
আবু তাহের খানের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, জেলা সভাপতির পক্ষ থেকে ইফতার পার্টি ডাকা হয়েছিল, তিনি কেন এলেন না জানি না। তাঁর না আসা নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে সংশয়ও প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি যে এই অনুপস্থিতি ভালো চোখে দেখছেন না, তাও পরিষ্কার করে দিলেন।
পঞ্চায়েতের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই মুর্শিদাবাদের তিন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী চ্যালে়ঞ্জ ছুড়েছিলেন মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ব্যাপারে। অধীর চৌধুরীর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, অধীরবাবুর পাশে কেউ থাকবে না। কংগ্রেস বলেই কেউ থাকবে না মুর্শিদাবাদ জেলায়।
এর আগেও বহু কংগ্রেস বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলররা দল ছেড়েছেন। এবার লাইনে রয়েছে ফারাক্কা ও নয়দার বিধায়কও। এদিকে আবদুল মান্নান এই দলবদলের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছিলেন তিনি আর কংগ্রেস ভাঙাবেন না। এরপর তৃণমূলে পা বাড়িয়ে থাকা কংগ্রেস বিধায়করা কী করেন কিংবা শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ রক্ষার কী হয়, তা-ই দেখার।
[আরও পড়ুন:প্রতিদিন ২৫ কিলোমিটার হাঁটেন মমতা! মোদীর 'ফিটনেস চ্যালেঞ্জ' তাই রাজনৈতিক তাৎপর্যেই]
[আরও পড়ুন:মিশন ২০১৯-এর লক্ষ্যে স্থির মমতা, মোদী বধের পরিকল্পনায় নিলেন যে আট দফা সিদ্ধান্ত ]