কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ! মমতাকে চ্যালেঞ্জ প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতার
বিজেপিতে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা হুমায়ূন কবীর। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন হুমায়ূন।
বিজেপিতে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা হুমায়ূন কবীর। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন হুমায়ূন। দেশে তথা রাজ্যে বিজেপিই দিশা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন হুমায়ূন কবীর।
কংগ্রেসের হাত ছেড়ে ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর চলে গিয়েছিলেন তৃণমূলে। তার ঠিক ৩ বছর ১১ মাস পর তৃণমূলের মোহ কাটিয়ে কংগ্রেসে ফিরলেন হুমায়ুন কবীর। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁকে মন্ত্রী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্বাচনে হেরে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় তাঁকে। তাঁকে বোড়ে করেই মুর্শিদাবাদ দখল করতে তৎপর হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু দোর্দণ্ডপ্রতাপ অধীর তখন মাথা তুলতে দেননি তৃণমূলকে। তারপর হুমায়ুন ক্রমশই ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন মমতার টিমে। কখনও ইন্দ্রনীলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, কখনও দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা ও নানা ইস্যুতে দলের অন্দরে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া তাঁকে তৃণমূলে এক ঘরে করে দিয়েছিল। শুভেন্দু-অভিষেকের নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদে অধীর-রাজ খতম-যজ্ঞে তাঁকে অপাংক্তেয় করে রাখা হয়েছিল।
২০১৭-র অক্টোবরে কংগ্রেসে ফেরেন তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতি আস্থা রেখেই পঞ্চায়েত যুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন হূমায়ূন। জেলাপরিষদে বেলডাঙা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। শাসকদলের ধামাধরাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে জেল খাটার বার্তা দিতেও কসুর করেননি হুমায়ুন।
কিন্তু ভোটের দিনেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই প্রবল রিগিং-এর অভিযোগ করে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছিলেন। তখনই তাঁর ইঙ্গিত ছিল দল বদল করে বিজেপিতে যাওয়ার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপিই যে বিকল্প তা বলেছিলেন হুমায়ূন।