নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা! রাজ্যে হেভিওয়েট বিজেপি নেতার দল ছাড়া নিয়ে হুঁশিয়ারি
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপির অন্দরেই বিরোধিতা। যার জেরে দল ছাড়তে চলেছেন মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবীর।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপির অন্দরেই বিরোধিতা। যার জেরে দল ছাড়তে চলেছেন মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবীর। রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির হারের কারণ হিসেবে ঔদ্ধত্যের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আর এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর হূমায়ূন বলছেন, নাগরিকত্ব আইন মানুষের ওপর খাঁড়ার মতো নেমে আসছে। তাই তিনি আর বিজেপিতে থাকবেন না।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধ বিজেপিতেই
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধ বিজেপিতেই। দল ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেনে মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা হুমায়ুন কবীর। তাঁর অভিযোগ নাগরিকত্ব আইন মানুষের ওপর খাঁড়ার মতো নেমে আসছে। তাই তিনি আর বিজেপিতে থাকবেন না।
কৈলাসে পরামর্শ
বিষয়টি কানে গিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়েরও। তিনি হুমায়ুনকে পরামর্শ দিয়েছেন, তাড়াহুড়ো না করে ভেবে দেখতে। অন্যদিকে বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের দাবি, তিনি এখনও দলত্যাগের ব্যাপারে কিছু জানাননি।
গ্রহণযোগ্যতা কংগ্রেস এবং তৃণমূলে
এলাকায় প্রভাব থাকায় হুমায়ূন কবীরের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল দুদলেই। হুমায়ূন নিজে বলছেন ভেবে দেখছেন, কোনও দলে তিনি যেতে পারেন।
হুমায়ুনের দলবদলের ইতিহাস
একটা সময়ে মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর অনুগত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন হুমায়ুন কবীর। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসায় পরে তিনি কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যান। সেখানে মন্ত্রীও হন। কিন্তু সেখান থেকে মধ্যবর্তী সময়ে ফের কংগ্রেসে ফিরে ২০১৮-র ২৫ জুন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।
উপনির্বাচনের পর হুমায়ূনের অভিযোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হুমায়ূন কবীর অভিযোগ করেছিলেন, ওদ্ধত্য কাল হয়েছে বিজেপির। দলের জেলা ও রাজ্য নেতাদের জন্য এই পরিস্থিতি। অযোগ্য নেতাদের তাঁর মাথার ওপর বসানোর চেষ্টা করা হয়েছে, অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। দলে গুরুত্ব না দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, ধর্ম নিয়ে কথা না বলে একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে চলার। কেননা ধর্ম আর এনআরসি নিয়ে রাজনীতি করতে গেলে কী পরিস্থিতি হতে পারে, এই উপনির্বাচনের তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বহরমপুরে প্রচারে গেলেও, তাঁর কেন্দ্রে না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।