বিধানসভা উপনির্বাচনে হারের পরেই বাড়ছে সংকট! বিজেপি হেভিওয়েট নেতার দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা
লোকসভা নির্বাচনে ১৮ আসনে জয়ের পরেই অন্য দল থেকে নেতা কর্মীরা দলে দলে বিজেপিতে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর সময় যেতেই অনেকেই ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে।
লোকসভা নির্বাচনে ১৮ আসনে জয়ের পরেই অন্য দল থেকে নেতা কর্মীরা দলে দলে বিজেপিতে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর সময় যেতেই অনেকেই ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। বিশেষ করে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এসেছিলেন। এবার ৩ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হারের পর ফোঁস ফোঁস শুরু করেছেন অনেক হেভিওয়েট নেতা। দল ছাড়ার হুমকিও দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবীর।
হুমায়ুন কবীরের দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হুমায়ুন কবীবের দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
হুমায়ুনের দলদলের ইতিহাস
একটা সময়ে মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর অনুগত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন হুমায়ুন কবীর। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসায় পরে তিনি কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যান। সেখানে মন্ত্রীও হন। কিন্তু সেখান থেকে মধ্যবর্তী সময়ে ফের কংগ্রেসে ফিরে ২০১৮-র ২৫ জুন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।
হুমায়ূনের অভিযোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হুমায়ূন কবীর অভিযোগ করেছেন, ওদ্ধত্য কাল হয়েছে বিজেপির। দলের জেলা ও রাজ্য নেতাদের জন্য এই পরিস্থিতি। অযোগ্য নেতাদের তাঁর মাথার ওপর বসানোর চেষ্টা করা হয়েছে, অভিযোগ তুলেছেন তিনি। দলে গুরুত্ব না দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, ধর্ম নিয়ে কথা না বলে একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে চলার। কেননা ধর্ম আর এনআরসি নিয়ে রাজনীতি করতে গেলে কী পরিস্থিতি হতে পারে, এই উপনির্বাচনের তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বহরমপুরে প্রচারে গেলেও, তাঁর কেন্দ্রে না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আপাতত বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে নয়
আপাতত বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদের এই সংখ্যালঘু নেতা। যতদিন যাওয়ার কিছু পাচ্ছেন না ততদিন চুপচাপ বসে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন।