২৩ হাজার পুলিশ কর্মী র ঘেরাটোপে 'শান্তিপূর্ণ' ভোট শহরে! আমরা তৈরি, বললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার
কলকাতা পুলিশের কাছে আজ বড় চ্যালেঞ্জ। ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসছে। ফলে শহরের বুকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। বড় ভূমিকা রয়েছে কলকাতা পুলিশের উপরেও।

যদিও পুলিশের তরফে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সর্বত্র পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছে। শুধু কলকাতার রাস্তায় নয়, জলপথেও হাই অ্যালার্ট। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
ভোটে অবাধ ভোট হবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশের উপরেই আস্থ রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে দাঁড়িয়ে আজ রবিবার ২৩ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে গোটা শহরজুড়ে। ৫ হাজার রাজ্য পুলিশের কর্মী কাজ করছেন।
জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার আধিকারিকদের ময়দানে নামানো হয়েছে। প্রায় এমন ১০ জন পুলিশ আধিকারিক ভোট কলকাতায় রাজপথে রয়েছেন। এছাড়াও ডেপুটি কমিশনার রয়েছেন ২৬ জন। ৭১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কাজ করছেন। এছাড়াও শহরের একাধিক জায়গাতে পুলিশ পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে শহরের ঢোকা এবং বের হওয়ার প্রত্যেকটি জায়গাতে পুলিশ পিকেট রয়েছে। এমন ২০০টি পুলিশ পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জলপথেও রিভার পেট্রোলিং চলছে ৬ জায়গায়। RFS ও RT মোবাইল দিনে-রাতে মিলিয়ে থাকছে ৭২টি। HRFS থাকবে ৩৫টি। থাকবে ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম। বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিধাননগর ও হাওড়া কমিশনারেট, বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলাকে। আজ থেকেই চালু হয়েছে কমিশনের কন্ট্রোল রুম-২২৯০ ০০৪০/৪১।
অবাধ ভোট করাতে তৈরি কলকাতা পুলিশ। পুরভোটের জন্য বাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজপথে নামলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। রাতেই কলকাতার সবকটি ডিসি অফিসে পৌঁছে যান কমিশনার। খতিয়ে দেখেন অবস্থা।
পরে সংবাদমাধ্যমকে সিপি সৌমেন মিত্র বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী এই ভোটও শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হবে। আমরা নির্বাচনের জন্য তৈরি। এর আগে অনেকগুলি নির্বাচনে কাজ করেছি আমরা। সব মিলিয়ে কলকাতা ভালো ভোট হওয়ার আশ্বাস দেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার।
কিন্তু এরপরেও সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গাতে অশান্তির খবর সামনে আসছে। কোথাও ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ আবার কোথাও বুথ দখলের অভিযোগ। একের পর এক অভিযোগ বিরোধীদের। সেখানে দাঁড়িয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।