Municipal Election 2022: ১৫২ বছরের ইতিহাস ভাঙল জয়নগর! ভোটকেন্দ্র ছাড়লেন সাধারণ ভোটাররা
Municipal Election 2022: ১৫২ বছরের ইতিহাস ভাঙল জয়নগর! ভোটকেন্দ্র ছাড়লেন সাধারণ ভোটাররা
সকাল থেকে বারে বারে কংগ্রেস (Congress) ও এসইউসিআই(suci)-এর তরফে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar)। কিন্তু বেলা বাড়তেই জয়নগরে প্রায় সর্বত্রই দেখা যায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি চলে গিয়েছে বহিরাগতদের দখলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখাতে পুলিশের সামনেই বুথে সামনে গুলিও চালায়।
সকালেই কংগ্রেসের প্রার্থীকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ
এদিন সকাল নটার কিছু পরে জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও ১১ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সুজিত সরখেল ও তার নির্বাচনী এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ পুলিশের মদতে সাদা গেঞ্জি পরা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী এই কাজে হাত লাগায়। বিরোধীদের অভিযোগ পুলিশকে বারে বারে জানালেও কোনও ফল হয়নি।
সব ওয়ার্ডই দুষ্কৃতীদের দখলে
কংগ্রেস হোক কিংবা এসইউসি সবাই এদিন অভিযোগ করেছে জয়নগর মজিলপুরে ১৪ টি ওয়ার্ডের সবকটিই সকালেই চলে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দখলে। দুএকটি বুথে সাধারণ ভোটারদের আনাগোনা থাকলেও মুখবন্ধ (এখানে মাস্ক ছিল না। ছিল রুমাল বাধা) দুষ্কৃতীদের ভয়ে সবাই সরে পড়েন।
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, জয়নগরের ডিসিআরসি সেন্টারের সামনেই দুদফায় গুলি চলে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিকবার গুলি চালনা কিংবা পটকা ফাটার মতো আওয়াজ পাওয়া যায়। অন্য জায়গাতেও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দাপাদাপি শুরু করে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। ফলে অনেক সাধারণ মানুষকে দৌড়তে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, জয়নগরে এই ধরনের ভোটে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি প্রথম। ১৫২ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
গুলি চলেনি দাবি পুলিশের
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, গুলি চালানোর কোনও ঘটনাই ঘটেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। জয়নগরে হিংসার কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
বিজেপির অভিযোগ
শনিবারই বিজেপির তরফ থেকে নির্বিঘ্নে ভোট করানোর দাবি করে থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ ছিল ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের লোকজন ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। সেই সময় অবশ্য পুলিশের সঙ্গে বিজেপির বচসাও হয়। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। পুলিশ সেই সময় বেধড়ক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পরে বিজেপি কর্মীরা জয়নগর থানার সামনে বিক্ষোভে বসেন। রবিবারের ঘটনার পরে বিজেপির তরফ থেকে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজসের অভিযোগ তোলা হয়েছে।