বাবা-পিসির যুদ্ধে কার দিকে শুভ্রাংশু, এবার প্রকাশ্য সভায় খোলসা করলেন নিজেই
দুদিন আগে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তারপরই তাঁকে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে।
অবশেষে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় কি গুরুত্ব ফিরে পেতে শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে? দুদিন আগে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তারপরই তাঁকে দেখা গেল অভিষেকের পাশে এক মঞ্চে। এদিনও তিনি মুকুল রায়কে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দেন।
তিনি আগেও যে ভাষায় মুকুল রায় ও বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন, এবারও তাঁর অন্যথা হল না। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বাবা-পিসির যুদ্ধে তিনি পিসির পক্ষই নেবেন। যে যাই বলুক তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনেই রাজনীতির ময়দানে থাকবেন। সাংবাদিক সম্মেলনের পর এদিন পুরুলিয়ায় নির্বাচনী জনসভাতেও সে কথা প্রকাশ করে দিলেন শুভ্রাংশু।
বিজেপির কড়া সামলোচনা করে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় শুভ্রাংশু বলেছিলেন, মুকুল রায়রা কোনওদিন বাংলার মানুষের মন জয় করতে পারবেন না। স্মার্ট ফোন দেওয়ার কথা বলে, শ্মশানে পাঠানোর বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন জয় করা যায়, কিন্তু বাংলার মানুষের মন জয় করা যায় না। কারণ বাংলার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে।
এদিনই সেই একই কথার প্রতিধ্বনি হল জঙ্গলমহলে নির্বাচনী প্রচার সভায়। অভিষেকের উপস্থিতিত তিনি যেভাবে তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন, তারপর জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা শুভ্রাংশুকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না। মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু এদিন মুকুল রায়সহ বিজেপি নেতাদের এক হাত নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে তিনি কোন পক্ষে তা স্পষ্ট করে দেন।
তিনি এদিন বলেন, বাংলার মানুষ স্মার্টফোন চান না, তাঁরা চান দু-টাকা কেজি দরে চাল। তাঁরা ভালোভাবে বাঁচতে চান। তাঁর কথায়, বাংলার মাটিতে বিজেপি কোনওদিনই পদ্মফুল ফোটাতে পারবেন না। তার কারণ বাংলার মানুষ রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।