মুকুলের সঙ্গে ‘দ্বৈরথে’ ক্ষেত্র ছোট হচ্ছে দিলীপ ঘোষের! সোশ্যাল মিডিয়াই বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির
মুকুল রায় বনাম দিলীপ ঘোষ অনুগামীদের লড়াই ২০২১ নির্বাচনে বড় ফ্যাক্ট হতে বসেছে বিজেপির কাছে।
মুকুল রায় বনাম দিলীপ ঘোষ অনুগামীদের লড়াই ২০২১ নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে বসেছে বঙ্গ বিজেপির কাছে। করোনার আবহে লড়াইয়ের ময়দান যখন ডিজিটাল প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে, তখন সেই দেওয়াল লিখনই বিজেপির কাছে হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর। মুকুল রায়ের কলকাতা ফেরার পর যেভাবে বিজেপি বিজেপিতে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, একুশের আগে তা রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ দিলীপের কাছে।
বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার পেজগুলোতে রটনা
দিলীপ ঘোষ বঙ্গ বিজেপির মুখ। তিনি সভাপতি। যতই মুকুল রায়কে নির্বাচন কমিটির মাথায় বসানোর হোক পূর্ববর্তী দুই নির্বাচনের মতো দিলীপই নেতা। কিন্তু সেই দিলীপের নামেই নানা রটনা বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার পেজগুলোতে। অনেকে তো বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে সরানোর দাবিও তুলেছে।
বিজেপির ফেসবুক পেজে টার্গেট হচ্ছেন দিলীপ!
আবার অনেকে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ মুকুল রায়কে করতে। এমন অনেক অবাস্তব দাবি তুলে ধরা হচ্ছে, যা রুখতে না পারলে বিজেপি গঠনগত কোনও চিন্তাভাবনা করতে পারবে না। এরই মধ্যে আবার বিজেপির মুকুল অনুগামী নেতারাও বিদ্রোহের সুর তুলেছেন। অর্জুন সিং মুখ খোলার বিজেপি পার্টি বারাকপুর কেন্দ্র ফেসবুক পেজে টার্গেট করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে।
মুকুল অনুগামীরা বিজেপিতে বেঁকে বসছেন!
মুকুল রায় সে অর্থে গুরুত্ব পাননি বিজেপিতে। বরং তাঁর অনুগামীরা পদ পেয়েছেন, সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এখন দাবি করছেন, নামেই পদাধিকারী, তাঁদের অধিকার নেই। বিজেপিতে দু-একজনের অঙ্গুলিহেলনেই সমস্ত কিছু হয়। বাকি সাজানো রয়েছে। তাঁরা সম্প্রতি বুঝিয়ে দিয়েছে মুকুল রায়ের গুরুত্ব না বাড়ানো তাঁরা ভালোভাবে নেবে না।
বিজেপি নেতাদের কাছে দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব প্রশ্নে
বিজেপির অন্দরে অনেক রয়েছেন, যাঁরা দিলীপ ঘোষকে সেভাবে গুরুত্ব দেন না। তাঁরা চান মুকুল রায়কে সামনে রেখেই লড়াই হোক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে বিজেপির একাংশ নেতা মিলিত হয়েছিলেন। তা জানতেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাবুল সব সাংসদকে ডাকলেন কেন রাজ্য সভাপতিকে ডাকলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন।