মুকুলের ছাড়া চার ‘মিসাইল-এ’ বিদ্ধ মমতা! বিজেপির 'বিরাট' চ্যালেঞ্জের মুখে তৃণমূল
করোনার আবহে এতদিন নিশ্চুপ থাকলেও এবার মমতাকে নিশানায় সরব হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
মুকুল এবার বাণ হানলেন মমতাকে নিশানা করে। ছাড়লেন পর পর চার বাণ। সেই বাণে ঘুম ছুটিয়ে দিলেন একদা তাঁর নেত্রীর। করোনার আবহে প্রথম থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে তিনি টার্গেট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চার বাণে তিনি ধরাশায়ী করে ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রথম বাণে সংখ্যা চাতুরি নিয়ে অভিযোগ
এই অভিযোগ মমতার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই করে আসছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার ব্যাটন তুলে নিলেন মুকুল রায়। তিনি রাজ্যের করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়েও এদিন সরব হন। মুকুলের কথায়, মানুষ মরে যাচ্ছে, আর দিদি সংখ্যা নিয়ে চাতুরি করছেন। আসলে করোনা সঙ্কটের আবহেও মমতা রাজনীতি ছাড়া কিছু ভাবছেন না।
দ্বিতীয় বাণে পুলিশকে নিশানা করলেন মুকুল
মুকুল রায় তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে এবার নিশানা করলেন রাজ্যের পুলিশকে। তিনি লেখেন, করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে বাঁচতে সহায়তা করার কথা যে পুলিশের, সেই পুলিশ মারধর করছে মানুষকে। বাংলায় করোনার আবহেও হিংসা চলছে। সেই হিংসা ছড়াচ্ছে পুলিশই। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলাতেও লকডাউন চলছে। ভেঙে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা। এখানে মনে রাখা দরকার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই আমাদের পুলিশমন্ত্রী।
তৃতীয় বাণে ডাক্তার-পুলিশের প্রশস্তি, নিশানায় মমতা
তবে তৃতীয় যে বাণ ছাড়ালেন মুকুল রায়, সেখানে খানিকটা হলেও পুলিশের প্রশস্তি গেয়েছেন তিনি। প্রশংসা করেছেন চিকিৎসকদেরো। তাঁরা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করছে বলে বর্ণনা করেই বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুকুলের কথায় করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যকে রক্ষা করতে ডাক্তার, পুলিশ সবাই কাজ করছেন, শুধু দিদি কাজ করছেন না। তিনি প্রতিদিন নতুন নতুন শখ পূরণ করছেন শুধু।
চতুর্থ বাণে মুকুল ধ্বংস করলেন মমতার সর্বযুক্তি
শেষ যে বাণ ছাড়লেন মুকুল রায়, সেখানে তিনি ধ্বংস করে দিলেন মমতার সব যুক্তি। তিনি লেখেন- রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে এবার জবাবদিহি করতে হবে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং প্রমাণ করে দিচ্ছেন, তিনি কতটা ব্যর্থ। তা না হলে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দিতেন না। মমতা বলেন, সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন অনেক ভালো। আসলে মমতা কোয়ারেন্টাইনের পরিষবা দিতে পারছেন না বলেই এই কথা ব্যক্ত করেছেন।