তৃণমূলের আরও ছয় বিধায়ক বিজেপিতে দ্বিতীয় দফায়! কাদের ইঙ্গিত করলেন মুকুল
এদিন তিন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে, দ্বিতীয় দফায় ছ-জন বিধায়ক যোগ দেবেন। তবে তাঁরা কারা সে বিষয়ে মুখ খোলেননি মুকুল রায়।
লোকসভা ভোটের মতোই সাতদফায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙবেন বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন বিজেপির বঙ্গ পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথার সূত্র ধরেই মুকুল রায় বললেন, এদিন তিন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে, দ্বিতীয় দফায় ছ-জন বিধায়ক যোগ দেবেন। তবে তাঁরা কারা সে বিষয়ে মুখ খোলেননি মুকুল রায়।
নতুন করে জল্পনা
মুকুল রায় শুধু বলেন, শনিবারই দেখতে পাবেন তাঁরা কারা। তবে তাঁরা সবাই তৃণমূলের বিধায়ক, সে কথা স্পষ্ট করে দেন মুকুল রায়। মুকুলের এই বার্তার পরই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে, কারা যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। এখন কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে সম্ভাব্য নাম নিয়ে।
জল্পনায় ছিলেন যাঁরা
এমনিতেই দুটি নাম এবার উঠেছিল শুভ্রাংশুর সঙ্গে। নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং, বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের নাম উঠেছিল। যদি শীলভদ্র দত্ত সাফ জানিয়ে দেন, তিনি নেত্রীর পাশেই রয়েছেন। আবার সুনীল সিং এদিন তৃণমূলের বৈঠকে গিয়েছিলেন। তাঁকে ভাঙন রোধে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অবস্থান স্পষ্ট
এদিকে সব্যসাচী দত্ত, যাঁর নাম লোকসভার আগে থেকেই বহুচর্চিত হয়ে আসছে, তাঁর অবস্থান নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। সব্যসাচী অবশ্য চাঁছাছোলা কথায় জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর অবস্থান। তবে তা তিনি জানিয়েছেন বাকচাতুরি দিয়েই। তিনি বলেন, আমার বিধানসভা এলাকায় তো তৃণমূল লিড পেয়েছে, কিন্তু যাঁদের এলাকায় পায়নি, তাঁদের কী হবে!
লুচি-আলুর দমের পরও
সব্যসাচী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি মুকুল রায়কে লুচি-আলুর দম খাওয়ালেও ভোটটা তৃণমূলের হয়েই করেছেন। তাঁর তোপ যে সুজিত বসুর দিকে, তাও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও তিনি বার্তা পাঠিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের নেত্রী কথা দিলে কথা রাখেন। তাহলে আমার কেন্দ্রে য়েহেতু লিড পেয়েছেন দলীয় প্রার্থী, আমার টিকিট নিয়ে নিশ্চয় কথা হবে না।
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপি। ব্যারাকপুর সংলগ্ন চারটি পুরসভার পঞ্চাশের বেশি কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। সঙ্গে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও হেমতাবাদ বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়।
আগামী দিনের অপেক্ষা
ফলে মুকুল রায়ের কথায় স্পষ্ট যে প্রথম দফায় তিন বিধায়ক আসলেও দ্বিতীয় দফায় দ্বিগুণ বিধায়ক এনে বাংলার রাজনীতির পট পরিবর্তনে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বিজেপি। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ক বিজেপিতে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন। মুকুল রায় বলেন, সংখ্যাটা ৪০ নয়, আরও অনেক বেশি। আগামী দিনেই তা দেখতে পাবেন।