মুকুল রায় মুখ খুললেন সৌমিত্র-সুজাতা পর্ব নিয়ে! বঙ্গ বিজেপির ফোকাস নিয়ে স্পষ্ট করলেন অবস্থান
বিজেপির হাত ছেড়ে সৌমিত্র জায়া সুজাতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তারপরই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ডিভোর্স নোটিস পাঠান স্ত্রীকে। বাংলার রাজনীতিতে তুফান তোলা এই পর্বের মধ্যেই শুভেন্দু ও মুকুল রায়কে ক্রমাগত খোঁচা দিতে ছাড়েননি সৌমিত্র পত্নী সুজাতা। এমন এক পরিস্থিতিতে মুকুল রায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।


সুজাতার টার্গেটে মুকুল-শুভেন্দু
তৃণমূলে যোগদানের পর সুজাতা জানিয়েছেন, বিজেপির হাত ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিতেই দলবদলের জন্য তাঁকে ডিভোর্স নোটিস পাঠানো হল। সুজাতার দাবি ছিল , তিনি মহিলা বলেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কবলে পড়ে এমন সিদ্ধান্তের শিকার হলেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, দলবদলের জন্যই যদি বিচ্ছেদ ঘটে, তাহলে মুকুল রায়কে কেন ত্যাজ্য-বাবা হলেন না? পাশাপাশি শুভেন্দুকে কেন পরিবার থেকে ত্যাজ্য করা হল না ? এই প্রশ্ন তোলেন সুজাতা।

সুজাতার নিশানা
সুজাতার সাফ দাবি, সৌমিত্র খাঁয়ের এই বিবাহ বিচ্ছেদের সম্পর্কের নেপথ্যে সম্ভবত রয়েছে বিজেপির হাত। গোটা ঘটনাকে তিনি তিন তালাক দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেন। যে দল তিন তালাককে সরিয়ে নারী মর্যাদার কথা বলে, সেই দল কীভাবে এমন কাজ করতে পারে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সুজাতা।

মুকুল রায়ের বার্তা
এদিকে মুকুল রায়কে সৌমিত্র-সুজাতা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগরে এক সভার পরই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের সাপেক্ষে মুকুল রায় বলেন, সৌমিত্রের স্ত্রী সুজাতার তৃণমূলে যোগদান একেবারেই ওঁদের পারিবারিক ব্যাপার। এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

বিজেপির ফোকাস স্পষ্ট করলেন মুকুল!
এদিন মুকুল রায় সৌমিত্র-সুজাতা প্রসঙ্গে না গিয়ে, সাফ জানান, নদিয়ার বুকে একটি আসন পাচ্ছে না তৃণমূল। আর তা নিশ্চিত করতেই বিজেপির তরফে কনক্লেভে আয়োজিত হয়। যেখানে মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্ত, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, জগন্নাথ সরকারের মতো নেতারা হাজির ছিলেন। সেখানে আলোচনা হয়েছে, কীভাবে রাজ্যের হারানো সাংসৃতিক গৌরব ফেরানো যায়, তা নিয়ে।