বাংলায় রাজনৈতিক ভূমিকম্প শুরু হয়েছে! মমতার সাধ্য নেই রক্ষার, তোপ মুকুলের
বাংলায় রাজনৈতিক ভূমিকম্প শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সরকারের পতন এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সোমবার দিল্লিতে তৃণমূলের আরও এক বিধায়ক, প্রাক্তন জেলা সভাপতি, ১০ জেলা পরিষদ সদস্য ও কাউন্সিলরদের যোগদানের পর মুকুল রায় সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের পতনের দিনক্ষণ।

মুকুলের ব্যাখ্যায় সাত দফায় ফাঁকা
মুকুল রায় বলেন, একটা জেলা পরিষদ মানে একটা গভর্নমেন্ট। এবার সেই গভর্নমেন্টই হাতছাড়া হয়ে গেল। এবার সেই সূত্র ধরে আরও জেলা পরিষদ হাতছাড়া হবে। পুরসভা, পঞ্চায়েত হাতছাড়া হবে। তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রক্রিয়া এবার শুরু হয়ে গিয়েছে। সাত দফা শেষে সব ফাঁকা হয়ে যাবে।

প্রথম পর্বের এক্সটেনশনেই থরহরি কম্প
মুকুলের কথায়, এখনও যোগদানের প্রথম পর্বের এক্সটেনশন চলছে। মোট সাত দফায় যোগদান পর্ব চলবে। সপ্তম দফা সম্পূর্ণ হবে যেদিন, সেদিন আর তৃণমূলের সরকার থাকবে না। বাংলায় রাজনৈতিক ভূমিকম্প শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই ভূমিকম্পেই ধসে পড়বে তৃণমূলের সরকার। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।

একে একে বিধায়ক-সদস্যরা বিজেপিতে
লোকসভা ভোটের পর একে একে বিধায়করা ভিড় করছেন বিজেপিতে। আর তাঁদের সঙ্গে পুরসভার কাউন্সিলররাও দল ছাড়ায় পুরসভাও হাতছাড়া হচ্ছে তৃণমূলের। এবার পুরসভা-পঞ্চায়েত ছাড়িয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদ ধরে টান দিল বিজেপি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ এবার হাতছাড়া হতে বসেছে তৃণমূলের।

তৃণমূলের গড় রক্ষা করা অসম্ভব
বাংলার মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। তা বুঝতে পেরেই জন প্রতিনিধিরাও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে ঘূণ ধরে গিয়েছে, এখন স্রেফ ভেঙে পড়ার অপেক্ষা। দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রতিদিনই ভাঙছে তৃণমূল। বেড়েই চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিদগ্ধ নেতারা আসছেন বিজেপিতে। আর তৃণমূলের গড় রক্ষা করা অসম্ভব।