পথে এবার নামো সাথী..., ‘পথ-যোগদানে’ জন-জাগরণের অভিনব পরিকল্পনা মুকুলের
মুকুল অনুগা্মী দলবদলু নেতা-কর্মীদের যোগদানের জন্য প্রথমে জনসভার আয়োজন করা হবে পরিকল্পনা নেওয়া হলেও, পরে বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত বদলে পথ-যোগদানের কর্মসূচি নেওয়া হয়।
আর মঞ্চ বেঁধে বড় জনসভা করে নয়, বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের বিজেপিতে যোগদান করানোর জন্য এবার রাস্তায় নামার ডাক দিলেন মুকুল রায়। বৃহস্পতিবারই মুকুল রায় জলপাইগুড়ি সফরে এসেছেন। এই সফরে তাঁর হাত ধরে তৃণমূলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের যোগদানের কথা বিজেপিতে। মুকুল অনুগা্মী সেইসব নেতাদের যোগদানের জন্য প্রথমে জনসভার আয়োজন করা হবে পরিকল্পনা নেওয়া হলেও, পরে বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত বদল করা হয়।
পুলিশ-প্রশাসন সভার অনুমতি দেবে না এই আশঙ্কা ছিলই। তা ভেবেই যোগদানের নতুন পথ বের করে ফেলল বিজেপি। যোগদানের এই অভিনব পরিকল্পনায় মুকুল রায় পথে নামার ডাক দিলেন তাঁর পুরনো সঙ্গীদের। আর রাস্তায় নামিয়েই এক সাথে পথ চলতে চলতে তাঁদের বিজেপিতে যোগদান করানো হবে।
বিজেপি এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে 'পথ-যোগদান'। বিজেপি জেলা নেতৃত্বের তরফে 'রুট-ম্যাপ' তৈরি করা হয়েছে। মুকুল রায় যেখান দিয়ে যাবেন, সেখানেই গাড়ি থামিয়ে নতুনদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হবে। তারপর তাঁরাও সামিল হবেন মুকুলের মিছিলে। এই অভিনব যোগদান কর্মসূচি হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এদিনই মুকুল রায় জলপাইগুড়ির লাটাগুড়িতে আসছেন। ৩০ ডিসেম্বর তিনি ক্রান্তি হয়ে ময়নাগুড়ি যাবেন। ময়নাগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি দলীয় কার্যালয়ে যাবেন তিনি। তারপরই শুরু হবে 'পথ-যোগদান' পর্ব। মুকুলের মিছিলে পা মিলিয়ে অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন নেতা-কর্মীরা। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, শুধু তৃণমূল কংগ্রেসই নয়, এই কর্মসূচিতে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছেড়ে অনেকেই যোগ দেবেন।
জনজাগরণ কর্মসূচিতে দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরবঙ্গে পাড়ি দিয়েছেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের সঙ্গে এই সফরে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও শমীক ঘোষের যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতোই 'টিম' তৈরি করা হয়েছিল। তবে শুধু তাঁরাই নন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই সফরে থাকছেন মুকুল রায়ের পাশে।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে নামার পর প্রথম সভাতেই তৃণমূল ছেড়ে রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ যোগ দেন বিজেপিতে। আর কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল ত্যাগ করায়, তাঁদেরও বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মুকুলের পথ যোগদান কর্মসূচিতেই তাঁরা বিজেপির মিছিলে পা মেলান কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন:ভোরে উদ্ধার তাজা বোমা, রাতভর পুলিশি পিকেট, আজও থমথমে ভাঙড়]