পিসি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-ভাইপো ডিরেক্টর, বাকিরা এজেন্ট! নজিরবিহীন তোপ মুকুলের
পিসি-ভাইপোর কোম্পানিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন পিসি ও আর ভাইপো হলেন ডিরেক্টর। আর কোনও ডিরেক্টর নেই। নিচু তলার কর্মীরা হলেন এই কোম্পানির এজেন্ট এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা তুলে ডিরেক্টরের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
রাজ্যে পিসি-ভাইপোর কোম্পানির সরকার চলছে বলে দ্ব্যর্থহীনভাষায় আক্রমণ করলেন মুকুল রায়। সোমবার পুরুলিয়ার সভায় একটিবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেননি তিনি। তা বলে তাঁর আক্রমণ থেমে যায়নি। মমতার নাম না করেই মুকুল বলেন, 'এই পিসি-ভাইপোর কোম্পানিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন পিসি ও আর ভাইপো হলেন ডিরেক্টর। আর কোনও ডিরেক্টর নেই। নিচু তলার কর্মীরা হলেন এই কোম্পানির এজেন্ট এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা তুলে ডিরেক্টরের কাছে পাঠানো হচ্ছে।'
[আরও পড়ুন:এবার মুকুলের থাবা উত্তরে, তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে পা বাড়াচ্ছেন কারা]
এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী বহলে মত প্রকাশ করেন মুকুল। তিনি বলেন, 'নির্ধারিত সময়ের আগেই মমতার সরকারকে বিদায় নিতে হবে। ১০ বছর পূর্ণ করতে পারবে না এই সরকার। বাংলার মানুষ পিসি-ভাইপোর কোম্পানির সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।' এমনকী এদিন তাঁর নিশানা থেকে বাদ যাননি রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
মুকুল
রায়
অভিযোগ
করেন,
স্বয়ং
রাজ্য
পুলিশের
ডিজিও
চিটফান্ডে
জড়িত।
তাঁরও
রোজভ্যালিকাণ্ডে
জেলে
যাওয়া
উচিত।
রোজভ্যালিতে
তিনি
ওতপ্রোতভাবে
জড়িত।
আর
রাজ্যে
যাদের
কোম্পানি
সরকার
চালাচ্ছে,
তাদেরই
এক
শেয়ার
হোল্ডার
ভাইপো
তাঁর
কাছে
ঢোকে
কয়লা
পাচারের
টাকা।
এদিন
জঙ্গলমহল
থেকে
চাঁছাছোলা
ভাষায়
আক্রমণ
শানালেন
মুকুল
রায়।
এই
পুরুলিয়াতেই
মুকুল
ঘনিষ্ঠ
শিক্ষক
নেতা
শুভজিৎ
মাহাতোকে
গ্রেফাতারের
প্রসঙ্গও
তোলেন
মুকুল
রায়।
তিনি
বলেন,
মিথ্য
মামলায়
ফাঁসিয়ে
তাঁকে
গ্রেফতার
করা
হয়েছে।
পুরো
ঘটনাটিই
সাজানো
বলে
তাঁর
অভিযোগ।
উল্লেখ্য
কয়েকদিন
আগে
শুভজিৎ
মাহাতোকে
বেআইনি
গাঁজা
রাখার
অভিযোগে
গ্রেফতার
করা
হয়।
[আরও পড়ুন:মমতা ফেরার পরই জঙ্গলমহলে হানা মুকুলের, 'চ্যালেঞ্জ' নিয়ে দাঁড়ালেন কুর্মিদের পাশে]
বীরভূমে তিনি যে ভাষায় পুলিশকে আক্রমণ করেছিলেন, এদিন পুরুলিয়াতেও একই সুরে বেঁধেন ওসি, পুলিশ সুপারকে। পুলিশ সুপারের দিকে তিনি অভিযোগ ছোড়েন, 'তিনি কয়লা পাচারকারীর কাছ থেকে টাকা তুলে যুবরাজের কাছে পাঠান। এইসব অপকর্মের জবাব চাইবে মানুষ। শুধু পরিবর্তনের অপেক্ষা। তারপরই মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে আপনাদের।'
এদিন সকালে কুর্মিদের নৈতিক সমর্থন পেয়ে মুকুল রায় মমতার সরকারকে চাঁছাছোলা ভাষায় তাঁর পছন্দের ময়দান থেকে। এই জঙ্গলমহল মুকুল রায়ের ঘরের মাঠ। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে এতটুকু রেয়াত করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যান্ড কোম্পানিকে।