লোকসভায় প্রার্থী খুঁজতে তৃণমূলের অন্দরে হানা মুকুলের! জল্পনা বাড়ছে যাঁদের নিয়ে
যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচন। সমস্ত দলই ব্যস্ত যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে। এবার বাংলায় যেহেতু বিশেষ নজর রয়েছে, মিশন ২০১৯-এ আসরে বিজেপির।
যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচন। সমস্ত দলই ব্যস্ত যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে। এবার বাংলায় যেহেতু বিশেষ নজর রয়েছে বিজেপির, মিশন ২০১৯-এ বাংলায় লক্ষ্যপূরণে এখন থেকেই আসরে নেমে পড়েছে তারা। তৃণমূলকে টেক্কা দিতে তাঁদের ভেঙেই প্রার্থী করতে তৎপর বিজেপি। মমতা শিবিরে মুখের মতো 'জবাব' ছুঁড়ে দিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মুকুল রায়।
মুকুলের খেল শুরু
মুখে না স্বীকার করলেও তৃণমূল ভাঙার কাজটা যে তিনি দায়িত্ব নিয়েই করছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই তৃণমূল ভেঙে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সাংসদ-সহ অনেকেই নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এবার মুকুল রায় বেছে বেছে বিক্ষুব্ধদের দিকে হাত বাড়াতে চাইছেন। তারই ফলশ্রুতিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে সব্যসাচী দত্ত-দের দিকে হাত বাড়ানো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যোগ্য প্রার্থীর খোঁজে
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপি যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না, সেই কারণেই ভোটের মুখে তৃণমূলকে ভাঙিয়ে প্রার্থী করতে চাইছে। সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে ভারতী ঘোষ, বিশ্বজিৎ-মৌসুমীদের দলে নেওয়ার নেপথ্য কারণ হল সেটাই। এখন আবার শোভন থেকে বৈশাখী, সব্যসাচীদের দিকে হাত বাড়ানো হচ্ছে।
টার্গেট বিধাননগরের মেয়রও
কদিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পড়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের গেরুয়া শিবিরে নিয়ে যেতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তারপরের টার্গেটই যে সব্যসাচী, সেই ধারণা উসকে দিয়েছে মুকুল রায়ের হঠাৎ বিধাননগরের মেয়রের বাড়িতে আগমনে। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক-মেয়রের বাড়িতে।
প্রার্থীর হওয়ার প্রস্তাব, জল্পনা
এরপর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে তবে কি লোকসভা নির্বাচনের আগে সব্যসাচীও বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন? এমনও জল্পনা শুরু হয়ে যায়, বারাসতে তাঁকে প্রার্থী করার প্রস্তাব নিয়েই একদা অনুগামীর বাড়িতে ছুটেছেন মুকুল রায়। যদিও এসব জল্পনা সপাটে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, সব্যসাচীর সঙ্গে আমার দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। খিদে পেলেই চলে আসি এ বাড়িতে।
প্রার্থী-জল্পনা অন্যদের নিয়েও
শুধু সব্যসাচী নয়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তাঁদের যথাক্রমে যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলে। আর ভারতী ঘোষ বা সৌমিত্র খাঁ-দের ঝাড়গ্রাম ও বিষ্ণুপুরে প্রার্থী করা হতে পারে। একইভাবে বিশ্বজিৎ-মৌসুমীদের নিয়েও জল্পনা চলছে।