মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা! দিল্লির বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় পা দিয়েই মুখ খুললেন তিনি
বাংলায় ক্ষমতা দখলই পাথির চোখ বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই দিল্লিতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে ছ-দিনের বৈঠক বসেছে। কিন্তু সেই বৈঠকের মাধেই তাল কেটে গেল হঠাৎ মুকুল রায়ের প্রস্থানে।
বাংলায় ক্ষমতা দখলই পাথির চোখ বিরোধী বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই দিল্লিতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে ছ-দিনের বৈঠক বসেছে। কিন্তু সেই বৈঠকের মাধেই তাল কেটে গেল হঠাৎ মুকুল রায়ের প্রস্থানে। মুকুল রায় বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় ফেরার ব্যাপারে মনস্থ করতেই তৃণমূলে ফেরার জল্পনা ফের প্রকট হয়। অবশেষে মুকুল রায় মুখ খুললেন এ বিষয়ে।
বৈঠক শেষের আগেই দিল্লি ছাড়ায় জল্পনা
২০২১-এর রূপরেখা তৈরি করতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করেছিলেন অমিত শাহ। বুধবার থেকে বৈঠক শুরু হয়েছিল। মুকুল রায় দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন একদিন আগেই। দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুরা গিয়েছিলেন বুধবার। কিন্তু মুকুল রায় বুধবার কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে বৈঠকের পরই দিল্লি ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করেন। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দেননি মুকুল।
কেন ফিরলেন কলকাতায়, ব্যাখ্যা মুকুলের
শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে মুকুল রায় বলেন, পাঁচ-ছ'দিন ধরে বৈঠক বহবে আমি জানতাম না। কলকাতায় আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল তাই ফিরতে হয়েছে। আমার রেটিনায় সমস্যা রয়েছে, একটা ইঞ্জেকশন নিতে হবে। সেই ডেট ঠিক করা ছিল আগে থেকেই। তাই আমাকে ফিরতে হল। এর মধ্যে কোনও জল্পনার অবকাশ নেই।
বিতর্কে ধামাচাপা দিতে মুকুল রায় কী বলেন
বিতর্কে ধামাচাপা দিয়ে মুকুল রায় বলেন, আর ন-মাস পরে নির্বাচন। তাই এর বাইরে ভাবার কোনও অবকাশ নেই। দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব। আমার বিশ্বাস এবার বাংলায় ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। এখন সেই কাজকে সাফল্যে রূপ দিতে হবে। আমরা সবাই একইসঙ্গে সেই কাজ করব।
মুকুলকে নিয়ে জল্পনা থামছেই না
কিন্তু একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে মমতার আহ্বান, এরপর মুকুল রায়ের তড়িঘড়ি দিল্লি উড়ে যাওয়া। তারপর বৈঠক শেষ না করেই ফিরে আসা। বৈঠকে তাঁর যুক্তি খণ্ডনের পর স্বভাবতই তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এখন প্রশ্ন, বিতর্কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাতেই মুকুল রায় তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন, নাকি সত্যই তিনি জানতেন না বৈঠকের সময়সীমা। জল্পনা থামছেই না।