মুকুল অনুশাসনের পাঠ নিলেন সঙ্ঘ শিবিরে! ‘ফারাক’ খুঁজলেন নয়া অভিজ্ঞতায়
আরএসএসের কড়া অনুশাসনের স্বাদ পেলেন তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এই প্রথম তিনি আরএসএসের ক্যাম্পে এসে নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন।
আরএসএসের কড়া অনুশাসনের স্বাদ পেলেন তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এই প্রথম তিনি আরএসএসের ক্যাম্পে এসে নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন। আর দু'দিনের অভিজ্ঞতা তিনি ব্যক্ত করলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তাঁর উপলব্ধি, একজন আরএসএস সদস্য আর রাজনীতি করা নেতার মধ্যে একটু ফারাক রয়েছে সঙ্ঘের অনুশাসনে।
আরএসএস শিবিরে অনুশাসনে মুকুল
মুকুল বলেন, রাজনীতির সঙ্গে আরএসএসকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। একজন আরএসএস সদস্য যে নিয়মে চলে, একজন রাজনীতি করা ব্যক্তি সেই নিয়মে পড়েন না। মোহন ভাগবতের সাহচর্যে এসে এমনই অভিজ্ঞতা মুকুল রায়ের। মুকুল রায় অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, আরএসএস শিবিরের অনুশাসন খুব ভালো অনুভূতি।
মুকুলের প্রথম এবং নতুন অভিজ্ঞতা
মুকুলের কথায়, একজন সঙ্ঘ সদস্যকে অনুশাসন মেনে চলতে হয় পদে পদে। অনুশাসন মেনে চললে তবেই কাউকে সদস্য করছে। দিলীপ ঘোষ ও সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন এই ক্যাম্পে। তাঁরা আরএসএসের সদস্য ছিলেন। তাঁরা সঙ্ঘের অনুশাসন সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু মুকুল রায় এই প্রথম এবং নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করলেন।
অন্য ধারা থেকে আসা মুকুলকে স্বাগত
মুকুল রায়কে স্বাগত জানিয়েই মোহন ভাগবত বলেন, যাঁরা অন্য ধারা থেকে আসছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে হবে। একইসঙ্গে তাঁদের অভ্যস্ত করতে হবে সঙ্ঘের অনুশাসনে। মোট ২৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন অই ক্যাম্পে। মুকুল রায়ও ছিলেন তাঁদের মধ্যে। ছিলেন ৩৫ সংগঠনের উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের প্রধান নেতারাও।
দুদিনের অনুশাসনে শিখলেন মুকুল
মুকুল রায় দুদিন কাটান এই ক্যাম্পে। তবে অন্যদের মতো রাত কাটাননি তিনি। রাতে ফিরে গেলেও অনুশাসন মেনে পরদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান শিবিরে। মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থেকে গেরুয়া পতাকার নীচে দাঁড়িয়ে দেশমাতৃকার প্রার্থনায় অংশ নেন। নিয়ম নেনে নিরামিশাষি আহার করেন।
[ এনআরসি নিয়ে 'ফিয়ার সাইকোসিস'-এ ভুগছেন চা বাগানের শ্রমিকেরা]
[ ষোড়শী একরত্তি কিশোরী গ্রেটার পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে একার লড়াই যেন বিস্ময়! উৎসাহিত করে অনেককেই]