অভিষেককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে! প্রাক্তনী মুকুলের নয়া চালে আরও বিপাকে ‘যুবরাজ’
কথামতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা চিঠিতে প্রত্যুত্তর দিলেন মুকুল রায়। বুধবার তাঁর আইনজীবী সোজাসাপ্টা জানিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে আইনি চিঠি প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করা হবে।
বিশ্ব-বাংলা বিতর্কে জমে উঠল আইনি চিঠির লড়াই। কথামতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা চিঠিতে প্রত্যুত্তর দিলেন মুকুল রায়। বুধবার তাঁর আইনজীবী সোজাসাপ্টা জানিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে আইনি চিঠি প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা তো করা হবেই, আইনানুগ সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ নভেম্বর চিঠি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে হবে মুকুল রায়কে, তা না হলে মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি। কিন্তু অভিযোগ প্রত্যাহার তো দূর অস্ত, মুকুল রায় সাফ জানিয়ে দেন তিনি মিথ্যে অভিযোগ করেননি। তিনি যা অভিযোগ করেছেন সর্বৈব্য সত্য। ফলে প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই।
এর অদ্যাবধি পরেই মুকুলের আইনজীবী পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, সাতদিনের মধ্যে আইনি নোটিশ প্রত্যাহার না করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানাহানির মামলা করবেন তিনি। পাল্টা আইনি নোটিশে তাঁকে সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথাও লেখা হয় চিঠিতে। শুধু লিখিত নয়, জনসমক্ষেও তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
[আরও পড়ুন : শুভ্রাংশু কবে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে, তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়ায় কী জানালেন মুকুল রায়]
মুকুল রায়ের আইনজীবী এদিন অভিষেকের আইনি নোটিশ ভিত্তিহীন দাবিতে পরিপূর্ণ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলেই তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই আইনি নোটিশ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। মুকুল রায় যে অভিযোগ করেছেন, তাকে খণ্ডন করে কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি দেখানো হয়নি ওই আইনি নোটিশে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১০ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপিতে আত্মপ্রকাশের মঞ্চ থেকে মুকুল রায় তির ছোঁড়েন অভিষেককে লক্ষ্য করে। তিনি নথি দেখিয়ে অভিযোগ করেন, বিশ্ব-বাংলা সরকারের ব্র্যান্ড নয়, ওটা আসলে অভিষেকের মালিকানাধীন একটা কোম্পানি। তাতেই বিপাকে পড়ে যায় সরকার। শুধু অভিষেকই নয়, সরকারের তরফ থেকেও এর জবাব দিতে হিমসিম খেতে হয়।
অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন তিনি আইনি নোটিশ পাঠাবেন মুকুল রায়কে। সেইমতো তিনি ১৩ নভেম্বর আইনি নোটিশ পাঠান। তার জবাবেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয় পাল্টা চিঠি দিয়ে। অন্যথায় মানহানির মামলা, এমনকী ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মুকুল রায়ের আইনজীবী।