সরকারি চাকরি প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করুক মমতা! তৃণমূলের আসন সংখ্যা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী মুকুলের
দশ বছরে কতজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকা প্রকাশ করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( mamata banerjee) সরকার। এদিন পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এমনটাই চ্যালেঞ্জ করলেন বিজেপির (bjp) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় ( mukul roy)
দশ বছরে কতজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকা প্রকাশ করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( mamata banerjee) সরকার। এদিন পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এমনটাই চ্যালেঞ্জ করলেন বিজেপির (bjp) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় ( mukul roy) । দশবছরে বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! বাড়তে চলেছে মাইনে, জারি হল বিজ্ঞপ্তি
১০০ টপকাতে পারবে না তৃণমূল
এদিন পাথরপ্রতিমার সভা থেকে মুকুল রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেস ১০০-ও টপকাতে পারবে না। ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল নামে কোনও দল থাকবে না। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। এর আগে মুকুল রায় বলেছিলেন ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপি টার্গেট ২০০-র বেশি আসনে জয়।
চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ
এদিন মুকুল রায় তৃণমূল সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ১০ বছরে চাকরি পেয়েছে, এমন একটা তালিকা প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, খেলা আর মেলার সরকার চলেছে রাজ্যে। বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এখন মমতার দোসর
মুকুল রায় এদিন অভিযোগ করেন রাজ্যে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ১২ টাকা। যা দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি। যা হয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার জন্য । তাঁর অভিযোগ একসময়ে যিনি ছিলেন সিপিএম-এর দোসর, তিনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোসরে পরিণত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফরে অতিথিদের তালিকায় তাঁর নাম দেখা যায় বলেও মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়।
২০ টাকার মদ নিয়ে কটাক্ষ
রাজ্যে বেকারত্বের ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন মুকুল রায়। তিনি বলেছিলেন রাজ্যের বেকারত্ব ১৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। যে পদের জন্য কেবল অষ্টম শ্রেণি পাস দরকার, সেই পদে হাজার হাজার স্নাতকোত্তর ছেলে মেয়ে আবেদন করেছে বলে জানান তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে থাকেন, রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। মুকুল রায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন রাজ্যের বেকার যুবকদের চাকরির সুরক্ষা দিতে না পারলেও ২০ টাকার চোলাই মদ সরবরাহ করছে সরকার। ক্লাবে ক্লাবে অনুদান দেওয়াকে ঘুষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।
ভবানীপুর থেকে হারতে পারেন মমতা, বলছিলেন মুকুল
সম্প্রতি
বিজেপির
কর্মিসভায়
মুকুল
রায়
বলেছিলেন,
২০১১
সালে
যাদবপুর
থেকে
হেরে
গিয়েছিলেন
বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্য।
বর্তমানে
পরিস্থিতি
যেদিকে
যাচ্ছে
তাতে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
ভবানীপুর
থেকে
জিতবেন
কিনা,
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
চিহ্ন
তৈরি
করেছেন
মুকুল
রায়।
প্রসঙ্গত
২০১৬-তে
প্রায়
২৫
হাজার
ভোটে
জিতে
ভবানীপুর
থেকে
বিধায়ক
হয়েছিলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু
২০১৯-এর
লোকসভা
নির্বাচনের
নিরিখে
এই
বিধানসভা
কেন্দ্রে
তৃণমূল
এগিয়েছিল
মাত্র
৩১৬৮
টি
ভোটের
ব্যবধানে।