২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কতগুলি আসন পাবে, সংখ্যা স্পষ্ট করে দিলেন মুকুল রায়
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২০ পার হবে না। লোকসভা ভোটের আগে প্রায় সমস্ত নির্বাচনী জনসভাতেও মুকুল রায় বলতেন সেই কথা। এবার বললেন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের কথা।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২০ পার হবে না। লোকসভা ভোটের আগে প্রায় সমস্ত নির্বাচনী জনসভাতেও মুকুল রায় বলতেন সেই কথা। এবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এনআরসি সচেতনতার মঞ্চ থেকে মুকুল বললেন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৬০ টি আসন পার হতে পারবে না। সাকুল্যে ৬০টি আসন পেতে পারে মমতা।
২৯৪টি আসনের মধ্যে বড়জোর ৬০টি
মুকল বলেন, ২০১৯-এ আমরা ২৩ থেকে ২৬টি আসন পাওয়ার টার্গেট করেছিলাম। কিন্তু আমরা ১৮ পর্যন্ত উঠতে পেরেছিলাম। ২ থেকে ১৮ প্রাপ্তিতে বাংলায় আমাদের শক্তি দেখাতে সমর্থ হয়েছিলাম। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও বলছি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৬০টি আসন পাবে না।
৩০ থেকে বেড়ে ৬০
মুকুল রায় এর আগে বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাও পাবে না। অর্থাৎ ৩০টি আসনও পাবে না তৃণমূল। এখন তা বাডিয়ে ৬০ করেছেন। অর্থাৎ প্রধান বিরোধী দল হতে পারে তৃণমূল, এখন সেটা মেনে নিচ্ছেন মুকুল রায়।
তৃণমূলের কামব্যাকের সম্ভাবনা নেই
তবে কেন মুকুল রায় পিছু হটলেন আগের ধারণা থেকে? আসলে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপিতে যোগদানের যে হিড়িক পড়েছিল, তাতে এখন ভাটা পড়েছে। যাঁরা তৃণমূলে ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে, তারা আবার কামব্যাক করেছেন পুরনো দলে। তার ফলেই কি তৃণমূলের প্রাপ্তি দ্বিগুণ হল মুকুল ভাষ্যে?
৩৭০ ধারা নিয়ে রাজনীতি মমতার
মুকুল রায় বলেন, ৩৭০ ধারা নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে মমতা। তাই ৩৭০ ধারা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেনি। তিনি অবস্থান স্পষ্ট করতে পারছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার বাংলা থেকে তাঁর বিদায়ের পালা।
[অবশেষে বিজেপিতে তৃণমূলের সব্যসাচী]