রাহুল সিনহা বাংলায় বিজেপির মুখ! সর্বভারতীয় সহসভাপতি হয়ে গলা ফাটালেন মুকুল রায়
রাহুল সিনহা বাংলায় বিজেপির মুখ! সর্বভারতীয় সহসভাপতি হয়ে গলা ফাটালেন মুকুল
৪০ বছর দল করা রাহুল সিনহাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খোয়াতে হয়েছে বিজেপিতে আনকোরা মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরার কাছে। তা মানতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রবীণ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর ক্ষোভ প্রশমিত করতে এবার আসরে নামলেন সদ্য মনোনীত দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।
রাহুল সিনহা হলেন বাংলায় বিজেপির মুখ
পদ হারিয়ে যখন একের পর এক আক্ষেপের সুর বেরিয়ে আসছে রাহুলের কণ্ঠ থেকে, তখন সেই অভিমান প্রশমনে রাহুল সিনহাকে দলের মুখ হিসেবে বর্ণনা করলেন মুকুল রায়। মুকুল বলেন, রাহুল সিনহা হলেন বাংলায় বিজেপির মুখ। তিনি ৪০ বছর ধরে দলের সেবা করে আসছেন। তিনি একজন অনুগত সৈনিক, তাই তিনি অভিমান করে কী বললেন সেটা বড় কথা নয়।
একযোগে লড়াইয়ের বার্তা মুকুলের কণ্ঠে
বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়িয়ে মুকুল রায় একেবারে সর্বভারতীয় সহ সভপাতির মতই রাহুল ইস্যু হ্যান্ডেল করলেন। রাহুল সিনহাকে দলের মুখ হিসেবে বর্ণনা করে সবাইকে একযোগে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন। বললেন সামনেই ২০২১-এর নির্বাচন। বাংলা জয় আমাদের সকলের লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে স্বার্থত্যাগ করে আমাদের লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে।
রাহুলকে নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় অনুপমও
রাহুল সিনহাকে সরিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হয়েছে মুকুল-ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরাকে। তিনি প্রতিক্রিয়ায় জানান, রাহুলদার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। হঠাৎ পদ হারানোয় রাহুলদার মানসিক সমস্যায় রয়েছে। তাই ওই কথা বলেছেন। ওসব আমরা কলকাতায় বসে চা খেতে খেতে মিটিয়ে ফেলব।
৪০ বছর রাজনীতি করার পর পদহীন হয়ে রাহুলের আক্ষেপ
বিজেপির হয়ে ৪০ বছর রাজনীতি করার পর পদহীন হয়ে রাহুল সিনহা ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন পুরস্কার পেলেন তিনি ৪০ বছর দলের সেবা করার পর। এবার তিনি কী করবেন, কী হবে তাঁর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা, তা জানিয়ে দেবেন ১০-১২ দি্নের মধ্যেই। ফলে আরও একটি বিস্ফোরণের অপেক্ষা করছে রাজনৈতিক মহল।
রাহুলের সমর্থনে গলা ফাটালেন মুকুল রায়ই
এরপরই রাহুলকে নিয়ে মন্তব্য করলেন মুকুল রায়। রাহুলকে সরিয়ে বাংলায় তিনি বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন আগেই। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দিলীপ বনাম রাহুল উধাও হয়ে গিয়েছিল। বরং দিলীপ বহনাম মুকুল নিয়েই বেশি চর্চা হত। তারপর রাহুলের এই পদহীন হওয়ার পর সেই মুকুলই রাহুলের সমর্থনে গলা ফাটালেন।
বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ সামলাতে অগ্রণী মুকুল
বাংলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে রাহুলকে সরিয়ে মুকুল রায় বাংলায় বেশ জাঁকিয়ে বসেছেন। দিলীপ ঘোষের আধিপত্যেও তিনি ভাগ বসিয়েছেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি হয়ে। ফলে বিজেপিতে মুকুল রায় এখন চালকের আসনে। তিনিই এবার অভিভাবকত্ব করবেন। রাহুলকে বাংলার মুখ বলে ব্যাখ্যা করে তাই বিদ্রোহ সামলাতে অগ্রণী হলেন তিনি।
হাইকোর্টের শূন্যপদে নিয়োগে বৃহন্নলাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া নিয়ে মামলা হাইকোর্টে