মুকুল রায় আইন ভাঙতে আসেনি, পুলিশকে জবাব দিয়েই শহিদ-তর্পণ কর্মসূচি বিজেপির
মুকুল রায় আইন ভাঙতে আসেনি, পুলিশকে জবাব দিয়েই শহিদ-তর্পণ কর্মসূচি বিজেপির
মুকুল রায় ফের বিজেপির কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিলেন। দিলীপ ঘোষ যখন দিল্লিতে তখন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে পাশে নিয়ে শহিদ-তর্পণের ব্যাবস্থা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি পুলিশের সমক্ষেই দলকে নির্দেশ দিলেন, আইন মোতাবের যা করার করতে হবে। আইনের বাইরে আমরা কিছু করব না। কারণ আমরা এখানে আইন ভাঙতে আসিনি।
মুকুল-কৈলাশ দেখালেন রাজনৈতিক ঝাঁঝ
শহিদ পরিবারের সদস্যদের গোটা বাংলা থেকে জড়ো করে কলকাতায় এনে শহিদ তর্পণ করে মুকুল রায় এদিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলকে। পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করেই মুকুল-কৈলাশ দেখালেন তাঁদের রাজনৈতিক ঝাঁঝ। বাগবাজারে পুলিশের বাধা পেয়ে তাঁরা পাশের গোলাবাড়ি ঘাটে এসে পালন করলেন তর্পণ-বিধি।
আইন ভাঙব না, আইন মেনেই তর্পণ
বাগবাজার ঘাটে বাধা পেয়ে গোলাবাড়ি আসার পথে মুকুল রায় বলেন, পুলিশ বিজেপির তৈরি করা মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। মানুষের অধিকার পূর্ব পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ সেটাও কেড়ে নিতে চায় সরকার। তবে আমরা আইন ভাঙব না। আইন মেনেই যা করণীয়, সেটা করব।
আইন মোতাবেক কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা মেনে
মুকুল বলেন, মনুষ মারা গেলে তাঁর শেষ কাজ করতে মানুষ গঙ্গায় আসেন। সেখানেও বাধা দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। আমরা আগের বছরও এই কর্মসূচি পালন করেছি। এবার বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা আইন মোতাবেক কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা করি। প্রধানমন্ত্রী কোভিড পরিস্থিতিতে আইন ভাঙতে নিষেধ করেছেন।
পুলিশকে এড়িয়ে্ই শহিদ-তর্পণ মুকুল-কৈলাশের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপি শহিদ তর্পণ করতে চেয়ে কলকাতা পুলি্শকে ই-মেল বার্তা পাঠিয়েছিল। তর্পণের জন্য নির্ধারিত দিনের একদিন আগে বাগবাজার ঘাটে মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্দীয় নেতৃত্বে এই কর্মসূচির পালনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি।
পুলিশের বাধা পেয়ে গোলাবাড়ি ঘাটে তর্পণ
কিন্তু এদিন সকাল থেকে বিজেপির এই কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা আঁচ করে কলকাতা পুলিশ বাগবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে ব্যারিকেড করে দেয়। সেই ব্যারিকেডে আটকে পড়েন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া মিছিল। পুলিশ বাধার মুখে পড়ে মুকুল-কৈলাশরা তাঁদের কৌশল বদল করে।
দিলীপ কি চান মুকুলের নাম থাকুক চার্জশিটে! কটাক্ষের সুরে জল্পনা বাড়ালেন কল্যাণ