শেষের শুরু! শুভেন্দুর পদত্যাগে গেরুয়া রেখা, ইঙ্গিতবহ বার্তা মুকুল রায়ের
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ ও সেচ দফতরের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কী বিজেপিতেই যোগ? সেই বিষয়ে যদিও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাইলেন না শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। তবে শুভেন্দুকে স্বাগত জানিয়ে ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়ে রেখেছেন দিলীপ ঘোষ, বিজয়বর্গীয়রা। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়।
কী বলেন মুকুল রায়?
এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, 'শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছে তা শুনেছি। শুভেন্দুর এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। গত দশকে আমার দেখা গণ আন্দোলনের ফসল শুভেন্দু। শুভেন্দু যদি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয় তাহলে বিজেপিও লাভবান হবে, শুভেন্দুরও ভালো হবে।'
গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা?
শুভেন্দু দলে এলে কী বিজেপিতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা রয়েছে? এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, 'বিজেপি কোনও বিড়ম্বনায় পড়বে না। শুভেন্দু এলে ভালো হবে। সে দলে এলে ভালো কাজ করতে পারবে। আমি যেদিন দল ছেড়েছিলাম, সেদিনও বলেছিলাম শেষের শুরু হল। এদিনও সেটাই বলব। নিশ্চিত ভাবে ২০২১ সালের নির্বাচনে বাংলার মানুষ এই সরকারকে সরিয়ে দেবে।'
কল্যাণেই অকল্যাণ
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন হিসেবে দেখা যাচ্ছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে নিয়ে বাঁকুড়া সফরে গিয়েছিলেন মমতা। কল্যাণ একের পর এক শুভেন্দুর সম্পর্কে তীর্যক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন। এরপরই মমতার কাছাকাছি আসতে দেখা যায় কল্যাণকে। এইচআরবিসি থেকে শুভেন্দুর পদত্যাগের পর সেই কল্যাণকেই বসানো হয়েছিল সেই পদে। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছিল।
সমস্ত জল্পনার অবসান
সমস্ত জল্পনার অবসান করে আজ তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। যদিও এর আগে ক্ষোভের বরফ গলাতে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবশ্য শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেও তা এখও গৃহীত হয়নি বলে খবর।
শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ পত্র হাতে পেয়েই 'সমাধান'-এর বার্তা রাজ্যপাল ধনকড়ের